১৯৪৭
সারে চার কোটি বাঙ্গালীর মুখ রুদ্ধ করতে পারোনি
হে মালিক ফজলুল রহমান।
রক্তে আমার বাংলা ভাষা শিরা উপশিরায় তা বহমান।
করিয়াছো হরন মুখের ভাষা তালা দিয়েছিলে মোর কণ্ঠে
ডাকিতে পারি নাই মা বলে আমি রুদ্র করিয়াছো মন্ত্রে
বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা নেমেছিল রাজপথে
বাংলা হবে রাষ্ট্র ভাষা আনুষ্ঠানিক দাবি উত্থাপন করে
বাঙ্গালী আমার জাতীর স্বত্বা ভুলি কি করে তার ভাষা
এমন মধুর ভাষা ছাড়া মেটেকি মনের আশা।
বলেছিল জিন্নাহ ২১ মার্চে রেসকোর্স ময়দানে
উর্দুই হবে রাষ্ট্রভাষা অন্য কোন ভাষা নহে।
বুজতে পারেনি পাকি গভর্নর মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ্।
এ দেশের মানুষ মনে প্রানে করেছিল তাকে ঘৃণা।
বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা মেনে নেয় না তা মনে
মায়ের ভাষা না বলে থাকা যায় কি কারো সনে।
এমন জুলুম যায় কি মানা হে রহিম রহমান
স্মারকলিপি প্রণয়ন করেন শেখ মুজিবুর রহমান।
যেখানে আছে অগ্নি ঝরা বিদ্রোহী কবি নজরুল
সাহিত্যের মাঝে ভাষা ছরিয়েছেন আহাম্মেদ আবুল মনসুর ।
ভাষার জন্য যুদ্ধ করেছে ভাষাবিদ শহীদুল্লাহ
এমন ভাষা যায় কি ভুলা হে খোদা রসূলুল্লাহ।
১৯৫২
২৭শে জানুয়ারী পল্টন ময়দানে খাজা মইনুদ্দীন
উর্দু হবে রাষ্ট্রভাষা ভাষণে জানান দেন।
বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা গর্জে উঠে আরেকবার
সিধান্ত নেয় ২১শে ফেব্রুয়ারী মিছিল মিটিং করিবার।
একথা শুনে ১৪৪ ধারা জারি করে সরকার।
গর্জে উঠে সারা বাংলা মুখের ভাষার তরে
১৪৪ ধারা ভেঙে তবু রক্ষা করবো তারে
রক্ত যদি দিতে হয় তবু রক্ত দিয়ে যাবো
মায়ের ভাষায় কথা তবু আমরা বলে যাবো
করবো না নত আপন শির ভিন্ন ভাষীর কাছে
নিজের ভাষা রাখব অটুট বাংলাভাষীর কাছে।
সালাম বরকত রফিক শফিক আরো যে কতো প্রান
রক্ত দিয়ে লিখে গেছে ভাষা দিয়ে গেছে জয়গান।