ওহে, তুমি দেখতে পাচ্ছো কিছু?
আমার শহর নীরব বড়ো,
পথ হারা সব কিছু।
ওহে, তুমি দেখতে পাচ্ছো কিছু?
চলছে গাড়ি, পুড়ছে লাশ,
হাঁটছে তোমার গড়ের মাঠ,
বিপ্লবে আর চায়ের কাপে
স্তব্ধ সময় রাস্তা ঘাট,
ভিজলো কিছু কাক সকালে,
একটা কুকুর নিলো পিছু।
ওহে, তুমি দেখতে পাচ্ছো কিছু?
মিটিং মিছিল, ঘুগনি রুটি,
পেটের জ্বালায়, কান্না মুছি,
একটা দুটো অনেক মাথা,
টাকার লোভে ব্যস্ত থাকা,
তুমি যতই করো হম্বি তম্বি,
আদপে আস্ত একটা ভীতু।
ওহে, তুমি দেখতে পাচ্ছো কিছু?
আজান দিচ্ছে সকাল সন্ধ্যে,
পূজোর ঘন্টা সেটাও শোনে,
একটা বিড়াল, চারটে বাচ্চা
শুঁকছে গন্ধ, মাছের কাঁটা।
বাড়ছে শহর গতর গায়ে,
তবু ধর্মের মাথা নীচু।
ওহে, তুমি দেখতে পাচ্ছো কিছু?
বাঁধছে শেকল তোমায় আমায়,
ভাবনা যত বন্ধক থাক,
স্বাধীন কথা বলতে মানা,
স্বাধীন সত্তা, নিপাত যাক
বাঁচার মানে পাল্টায় রোজ,
শুধু নাকটা হচ্ছে উঁচু।
ওহে, তুমি দেখতে পাচ্ছো কিছু?
খাচ্ছি খাবি, গন্ধ ঘামের,
বুড়িয়ে যাওয়া ছন্দ কাটে,
পড়ছি শুধু ধাক্কা খেয়ে,
বাড়ছে ব্যথা গাঁটে গাঁটে,
বাতাস বিহীন অঙ্গ রাজ্যে
৪৯, তুমি জ্বলবে মনে,
বদলা চাইছে ওই যে শিশু।
ওহে, তুমি দেখতে পাচ্ছো কিছু?