আজ ভাবছি একটা কবিতা লিখতে হবে,
সকাল থেকে আকাশের বুক চিড়ে
একটু আধটু রোদ বেরিয়ে আসছে।
খেয়ালি মনে গাংচিল পাক খাচ্ছে শূন্যে,
আর একটা বাচ্চা ক্ষিদের জ্বালায় রাস্তার পাশে কাঁদছে,
উঁহু, আমাকে আজ একটা কবিতা লিখতেই হবে।
শান্ত নদীর বুকে একটা মাছরাঙা খেলা করে,
আমের মুকুলের গন্ধে ভালোবাসা জাগে
মৌমাছির প্রাণে,
দূরে বহু দূরে ছোট হয়ে আসে ঘুড়ি,
আর রাস্তার পাশে এক কবি খুন হয়ে পরে থাকে,
নাহঃ, আমাকে আজ একটা কবিতা লিখতেই হবে।
চৈত্রের পরে যেভাবে বৈশাখ আসে,
শ্রাবণের জলে ধুয়ে যায় ঊষর মরুভূমি,
শীতের নামতা পড়তে পড়তে শিশির পড়েছে ঘুমিয়ে,
আর গরিব চাষীকে পিটিয়ে কেড়ে নিল ওরা জমি-
ধ্যুত, আমাকে আজ একটা কবিতা লিখতেই হবে।
রাতের আদরে কখনো কখনো কান্না
চাপা পরে,
ভালোবাসা খুঁজে ফেরারি অনেক প্রেমিক,
সবুজ ধানক্ষেতে কিছু কাশফুল থাকে লুকিয়ে,
আর রেলের বন্ধ ঘরে ধর্ষিতা হলো এক কিশোরী,
ইস, আমাকে আজ একটা কবিতা লিখতেই হবে।
চেনা চেনা ছকে চোখের দৃষ্টি ক্ষীণ হয়ে আসে,
কবিতার খাতায় অনেক কবিতা বন্দি ,
প্রতিবাদী জিভে মৃত্য জাতিস্মর,
আর কবিতার বুকে আমার জবানবন্দি-
হ্যা, আমাকে আজ একটা কবিতা লিখতে হবে।
আমাকে আজ একটা কবিতা লিখতে হবে।