রুদ্র,
এত কিসের তাড়া ছিল তোমার ?
আর কিছুদিন থেকে গেলে হতো না ?
আকাশের প্রতি তোমার ভালোবাসা কি এতই ছিল
যে চিঠির উত্তর না পেয়ে, আকাশেই চলে গেলে ?
রুদ্র, ক্ষমা করো ।
যখন প্রতি দুপুর তুমি সিঙ্গারা খেয়ে কাটিয়েছ
ভাড়া দিতে না পারায় নিজেকে শাস্তি দিয়েছ মনে মনে;
কিছুই করতে পারিনি-
রুদ্র, তোমার আকাশ কেমন আছে ?
তোমার আকাশ কে বলে দিও,
তারচেয়ে ভাগ্যবতী কেউ নেই, কেউ হতে পারে না ।
আমার মত অনেকেই বাউল হতে চেয়েছে;
চেয়েছে সেই মালাখানি-
জানো রুদ্র, কেউ পায়নি ।
তোমার মত প্রেমিক কেউ হতে পারে না;
কতবার চেষ্টা করেছি তোমার মত লিখতে !
পারিনি । কেউ পারে না রুদ্র, কেউ না ।
ক্ষমা করো রুদ্র ।
সম্মান আর শ্রদ্ধার যতটুকু অংশ প্রাপ্য ছিল
তার কিছুই দিতে পারিনি ।
তবু তুমি কেন কিছু বললে না ?
কেন এই আমাদের জন্য লিখে গেলে কবিতা ?
কেন এত ভালবেসেছিলে ?
সত্যি রুদ্র,
আকাশেই তোমার ঠিকানা,
এত কলুষের জগতে তোমায় ভালোবাসার কেউ ছিল না ।
প্রায়ই আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখি,
জানিনা তুমি পেয়েছ কিনা ।
তবু রুদ্র, ক্ষমা করো আমায় ।
সম্ভব হলে চিঠির উত্তর দিও, আমাকে বলো-
"ভালো আছি, ভালো থেকো
আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো" ।
সেদিন আমিও তোমার মত বাউল হয়ে ঘুরে বেড়াবো ।
ভালোবাসি রুদ্র,
হৃদয়ের জমানো প্রতিটি অনুভূতি দিয়ে ভালোবাসি তোমাকে ।




- জিহান আল হামাদী
২১শে জুন'২০১৩