রাত জেগে তুই ঘড়ির কাঁটার শব্দ শুনতে থাক,
তুই কখনোই শুনবি না রে মানুষের হৃদস্পন্দ।
সবাই যখন ঘুমোয়, তখন শুনিস নিশির ডাক,
মানুষের মন পড়বি কী তুই ? পাবি কি তার গন্ধ॥
তোর হৃদয় তো গগনচারী, দূর নীলিমায় বাস,
শান্তিতে থাক, নীল মনটি তোর ধূসর হতে বাধ্য,
এ যৌবনের পর্ণ যেদিন ঝরবে রে একরাশ,
বার্ধক্যটার ধূসরে হায় হারাবি তুই সাধ্য!!
বাস্তবতার এই মাটিতে নামিস নি রে তুই,
যৌবনটা তোর গ্রাস করছে সেই কল্পনা-বিশ্ব।
সাধ জাগে না?—একবার এসে বাস্তবটাকে ছুঁই,
কল্পনাকে তুচ্ছ করে দেখি বাস্তব-দৃশ্য॥
চার দেওয়ালের গণ্ডি ছেড়ে আয় ছুটে একবার,
যৌবন এলো তবুও তুই বন্দি আছিস কক্ষে,
মার লাথি মার! দামাল হয়ে ভাঙ রে সকল দ্বার,
বাক্যকে কর্ ক্ষুরধার, তুই সাহস যোগা বক্ষে॥
বাস্তবতার মাটিতে তুই ধর্ রূপ— মহাকাল,
পুব আকাশে তুইতো আনবি একটি নতুন সূর্য।
অঙ্গ জুড়ে লেপন করবি প্রতিবাদের লাল—
হুংকার ছেড়ে ময়দানে তুই বাজাবি ফের তুর্য॥
আসমদ্র-হিমাচল জয় করে ঘুর সব দেশ,
দাপাবি তুই, আসলে আসবে সামনে হাজার ঝক্কি।
দেখছে সবাই তুইতো আছিস ঘরের মধ্যে বেশ,
বল উদাসী, তোকে এবার বলবে সকল লোক কী??