পথের শুরু কি যে সুন্দর, আহা!
শুধালাম আমি, এ পথ কোথায় মেশে?
এক বিরহী বললো ডেকে, হা হা!
এ পথ গেছে অবহেলার দেশে।
আমি তো অবাক! অবহেলার দেশে?
সেটা আবার কোন দিকে গো পড়ে?
জানলাম আমি; প্রেম জোয়ারে ভেসে—
সে দেশ সবাই মনের মাঝে গড়ে।
বললাম আমি, প্রেম হলে অবহেলা!
এটা আবার এমনতরো কথা?
বিরহী বললো, ঘুচলে মোহের খেলা—
বুঝবে তুমি এ কথার সত্যতা।
সাধ হলো খুব গড়বো সে দেশ মনে,
প্রস্তুতিতে করতে হবে কী কী?
সেই বিরহীর সু–নির্দেশ শুনে
তখন আমি প্রেমের পত্র লিখি।
তারপরে ঠিক মোহের খেলা শুরু,
প্রেমপত্র দিলাম মোহের হাতে,
বুকের মাঝে করলো দুরুদুরু!
সেই মোহকে নিলাম আমার সাথে।
আমিও গেলাম সাজানো পথ ধরে,
হাঁটতে হাঁটতে ফুটলো পায়ে কাঁটা,
মোহ বললো, ধরো শক্ত করে,
দেখি কেমন তোমার বুকের পাটা!
তাই ক্ষমতা জাহির করতে গিয়ে
বুকের পাটা হলো নরম মাটি,
যেমন গড়ায় তেমন আকার নিয়ে
বুঝে গেলাম; সম্পর্ক নয় খাঁটি।
মোহ তখন আলোকবর্ষ দূরে,
কিংবা ধরো, দুই গোলার্ধে বাড়ি,
সে তো দেখি দিব্যি সুখে ঘোরে,
আমার সাথে করলো নিছক আড়ি।
ভাবছি তখন বলবে কী সব লোকে?
কি যে পেলাম এ পথ চলার শেষে,
তাকিয়ে দেখি আমি করুণ চোখে;
পৌঁছে গেছি অবহেলার দেশে।
(রচনাকাল:- ১১/০৩/২০২৫)