তারা জন্মেছিল এক নির্মল প্রভাতের উজ্জ্বল আলোয়,
কিন্তু শৈশবেই তাদের মনের জমিতে
পুঁতে দেওয়া হলো অন্ধকারের বীজ।
শিক্ষার বটবৃক্ষের জায়গায় রোপিত হলো বিষবৃক্ষ,
যার বিষাক্ত বাতাসে ছিল শুধু ধোঁকা আর শূন্যতা।

ধর্মের ভেদাভেদ ছাপা হলো পাঠ্যপুস্তকের পাতায়,
গাণিতিক সমীকরণের মাঝে লুকিয়ে রইলো প্রতারণার অঙ্ক।
ইতিহাসের পাতায় লেখা হলো ভুল নাম,
আর সত্যগুলো ছিঁড়ে চাপা দেওয়া হলো
মিথ্যার মহাকাব্যে।

চিকিৎসার নামে মানুষের রক্তে
ঢেলে দেওয়া হলো দুর্নীতির বিষ।
যত্নের পরিবর্তে ওষুধে মিশে থাকে প্রতারণা,
রোগীর শরীরে ঢুকে যায় ভ্রষ্টাচারের ছায়া,
আর ব্যথা হয়ে ওঠে অনন্ত অপার।

রেশনের চাল রঙহীন ফ্যাকাশে,
ক্ষুধার থালায় পড়ে লোভের ছায়া,
শিশুর ঠোঁটে দুধের বদলে
চুঁইয়ে পড়ে দুর্নীতির নির্যাস।

ভেজালের বাজারে চাকরিও বেসাতি,
নিয়তির কলম আপন হাতে নিয়ে
নিজের খেয়ালে ভাগ্য লেখে মুখোশধারী,
স্বপ্নগুলো নিলামে ওঠে নষ্ট রাজপথের ছায়ায়।

বিচারের মঞ্চে বসে থাকে নীরবতা,
আইনের দাঁড়িপাল্লায় ভার হয় প্রভাবের,
শাস্তির সিন্দুকে জমে থাকে ক্ষমতার ছাপ,
নিরপরাধেরা খুঁজে ফেরে মুক্তির আলোকরেখা।

তারা অন্ধকারের আশায় জন্মায়নি,
চোখে ছিল সূর্যালোক ছোঁয়ার আকাঙ্ক্ষা,
কিন্তু দুর্নীতির কালো মেঘ ঢেকে দিল দিগন্ত,
তারা বড় হলো অন্ধকারের কোল ঘেঁষে
    
আর এভাবেই,
তারা উত্তরাধিকার সূত্রে পেলো এক বিষাক্ত অন্ধকার।
যেখানে আলো মানেই এক নিষিদ্ধ গল্প।