জীবন মানে কি শুধু বেঁচে থাকা!
অতীতের জন্য আফসোস আর
ভবিষ্যত পরিকল্পনা?
বর্তমানকে লোকাল ট্রেনে
আর ভিড়ে ঠাসা বাসে ঝুলিয়ে দিয়ে
সুখের জন্য ওয়েটিং-এ টিকিট কেটে রাখা?
বর্তমান এভাবেই ঝুলতে ঝুলতে
পৌঁছে যায় জীবনের অন্তিম ঠিকানায়।
সেখানে পৌঁছে নিজেকে প্রশ্ন করি
আমরা বাঁচলাম কখন? আমরা কি আদৌ
এতদিন বেঁচেছিলাম?

আমরা কি সত্যিই বেঁচে আছি,
এরই নাম কি জীবন?
ভবিষ্যতের হাতছানিতে
আমাদের প্রতিমুহূর্তের সঙ্গী
বর্তমানকে উপেক্ষাই করে গেলাম,
একটা দিনের জন্যও বর্তমানের সাথে বাঁচলাম না।
আমরা কখনো বলি না, আজ তো বেঁচে আছি
এই দিনটিও ভগবানেরই আশীর্বাদ
আজ উপভোগ করি,
আজ মনের সুখে আমার প্রিয় গানটা গাই,
বুক ভরে নিঃশ্বাস নিয়ে সমস্ত কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে
অট্টহাসিতে ফেটে পড়ি।
একটা সুন্দর দিন উপহার দেওয়ার জন্য
ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই।

এখন আমরা প্রতিনিয়ত মৃত্যুভয়ে দিন কাটাই
অনিশ্চয়তার অন্ধকারে,
কে জানে কবে নেমে আসবে জীবনের যবনিকা।
অনিশ্চিত ভবিষ্যতের ভয়ে
বর্তমানের প্রতিটি মুহূর্ত বিস্বাদ,
যন্ত্রবৎ এক একটা দিন কাটছে আমাদের।
মৃত্যুভয়, মৃত্যুর থেকেও ভয়ঙ্কর।
করবো জয় এ মৃত্যুভয়,
আবার আসবে নতুন সকাল,
বিগলিত হবে চিত্ত।
তাও যদি মৃত্যু আসে, আসুক তবে
করবো না আর ভয়, দেবো প্রাণ
বলবো তারে জড়িয়ে ধরে
" মরণরে তুহূঁ মম শ্যাম সমান "।