"তুমি কে? আমি কে?- রাজাকার --! রাজাকার --!!"
স্বাধীনতার গলায় দড়ি, দেশ প্রেমিকের হাহাকার --!!

যে স্লোগান শুনতে পেলাম ঘুম টুটেছে ধরণীর,
টুটলো কি ঘুম বাঘ বাঙালির?
টুটলো কি ঘুম দেশ দরদীর?
নাকি ঘুমায় তেল লাগিয়ে আঁচল তলায় ঘরনির?

দুষ্টু ষাঁড়ে গোয়াল ভরলে গোয়াল হবে গড়ের মাঠ,
রাজাকারে ভরলে স্বদেশ দেশটা হবে শ্মশান ঘাট।
সুপ্রিম কোর্টে পেন্ডিং মামলা- তার বিরুদ্ধে আন্দোলন!!
হতে পারে? উচিত কি তা?- জবাব দেবেন বোদ্ধাগণ?
তার বিরুদ্ধে সরকার কি গো করতে পারে পদক্ষেপ?
যদি করে নারী বলাৎকারের মতো হবে রেপ!!
বিচার বিভাগ ধ্বংস হবে, রসাতলে যাবে দেশ,
অত্যুৎসাহী দেশবিরোধী ভেকের মতো নাচবে বেশ।

দেশ চালাতে কিংবা সংসার শৃঙ্খলা এক মহৌষধ,
না মানলে তা যখন-তখন সুস্থ মানুষ হবে বধ।
আদালতের রায় বেরোতেই আন্দোলনের গলায় ফাঁস,
সবুর করলে বিঁধতো কি আর দেশ-জনতার পুচ্ছে বাঁশ?

ছাত্র-যুবার অনেক শক্তি- করলে প্রয়োগ ভুল পথে,
দেশ বিরোধী, স্বদেশঘাতী উঠবে হেসে সেই রথে।
বাড়বে দেশে আগাছাদের গিরি সদৃশ অনাচার,
পড়বে পায়ে লোহার বেড়ি দেশটা হবে কারাগার।

আন্দোলনে ঝরে গেল তরুণ তাজা কত প্রাণ!
লাভ কী হলো? দেশ হারালো ভবিষ্যতের অগ্নি বাণ।
ভাবো সবাই- ভেবে দেখো করার আগে বারংবার,
ছুঁড়লে গুলি ফিরবে না সে চেষ্টা করলেও হাজার বার।
দুর্নীতি এ আন্দোলনের হতো যদি সূত্রপাত,
শাবাশ! বলে হাতে তালি দিতে পারতাম দিবস-রাত।

২৭/০৭/২০২৪ ইং

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া আন্দোলন নিয়ে কিছু লেখার ইচ্ছে থেকে এই কবিতা। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ হয়ে সরকার পক্ষ সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আগে, আমার মতে, এ আন্দোলন সংগঠিত হওয়া কোনমতেই ঠিক হতে পারে না। কিছুদিন ধরে অনেক বড়ো বড়ো দুর্নীতির কথা আমরা শুনতে পাচ্ছিলাম। সে গুলো নিয়ে আন্দোলন হলে ঠিক ছিল। আমার সাথে ওপার বাংলার কবি বন্ধুরা সবাই একমত নাও হতে পারেন। যারা একমত হতে পারবেন না তাদের কাছে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।