আধেক রজনী কেটেছে কেবল চারিদিকে শুনশান,
হঠাৎ কীসের শব্দে আমার ঘুম ভেঙে খান খান।
শয্যা ত্যজিয়া বাইরে এলাম আকাশে তারার মালা,
নীল নীলিমায় পূর্ণ শশীর দীপ্ত প্রদীপ জ্বালা।
কোথা নেই সাড়া সব চুপচাপ, শব্দ উৎস খুঁজি,
ছুটে এলো এক তরুণ কুকুর খাবার পাবে সে বুঝি।
মুখ পানে চেয়ে লেজ নাড়ে শুধু কী যেন বোঝাতে চায়,
আমি খুঁজি সেই শব্দ উৎস নীরব নিশির গায়।
শীতল রাতের অঙ্গে অঙ্গে রুপালি চাঁদের আলো,
ছড়িয়ে জাদুর রূপের বাহার ঘুচিয়ে দিয়েছে কালো।
পুলকিত মনে করি গুঞ্জন আবেগ তাড়িত রাতি,
বাতাবি লেবুর পাতার ফোঁকরে চন্দ্রপ্রভার বাতি।
ওখানে জবার শাখার তলায় চোয়ানো আলোর রশি,
তারি পাশে থাকা ঝোপের ওপরে মাধুরী ঢেলেছে শশী।
কী যে অপরূপ! কী যে মায়াময়! কী করে বোঝাবো আমি!!
রুদ্র তেজের দিবাকর থেকে এ যেন অনেক দামি।
মনে হয় যেন চতুষ্পার্শে বাজিছে কলাপ ধ্বনি,
মনে হয় যেন দূরে কোনখানে নাচিছে রূপসী ধনি।
কান পেতে রেখে সুধাকর পানে তাকিয়ে বলেছি- "তুমি",
যাবে কি আমার অধরে-ললাটে সুখের পরশে চুমি?
এদিকে শীতল রমণী আমায় বেঁধেছে কঠিন পাশে,
ছুটে চলে আসি নরম-গরম বিছানা ছোঁয়ার আশে।
শব্দ উৎসের অবগুন্ঠন হয়নি খোলা যে আর,
সুখ নিদ্রায় সুষুপ্ত রাত করেছি নীরবে পার।

২৮/০১/২০২৫ ইং