কচি দুটি ছেলে-মেয়ে রেখে
মা গিয়েছে চলে,
অন্যখানে অন্য কারো সাথে--
মেয়ের বয়স বারো কিংবা তেরো,
ছেলের বয়স ছয়,
কীই বা ওদের বয়স!
মায়ের দোষে ওদের বুকে ব্যথার অভ্যুদয়!!
মাকে মনে পড়লে ছেলের মনটা কেমন করে,
ব্যথার পাহাড় উথলে উঠে, নয়নে জল ঝরে।
কচি মনের বায়না যতসব,
দিদির কাছে ঢেলে দিয়েই করে কলরব।
তাই দেখে তার দিদির নয়ন জুড়ে,
অশ্রুবিন্দু আসে তেড়ে-ফুঁড়ে!
ছোট্ট বুকের ভেতরে তার অভিমানের বিষণ্ণ এক ঢেউ!
বুঝবে এমন নেই কাছে তার কেউ!!
বয়ঃসন্ধি কালের একটি মেয়ে,
শরীরে তার বদলে যাওয়ার ডাক--
বলবে সে তা কাকে?
আহর্নিশি ডুবেই মরে বুকের ব্যথার পাঁকে।
পিতা থাকে কাজের তাড়ায় বাইরে,
খায় কি না খায়- দেখার কেউ তো নাইরে।
এমনি করেই চলছে ওদের জীবন তরী বেয়ে,
শেওলা পড়া, মরচে ধরা পথ--
উদম নেচে কুজ্ঝটিকা আসে ধেয়ে ধেয়ে।
ভাইয়ের ব্যথা দিদি বোঝে দিদির ব্যথা বুকে,
অষ্টপ্রহর গুমরে গুমরে মরে ধুঁকে ধুঁকে।
কীসের অভাব ছিল তাদের মায়ের?
কেন গেল কচি-কাঁচা ছেলে-মেয়ে ছেড়ে?
গজিয়ে ওঠা দুঃখ ওদের যাচ্ছে সুখে বেড়ে--
এই কি রে মা--!?
এমন পাষাণী!
ভাবতে গেলেই ঘৃণায় আমার গা করে রি রি!!
১২/০৪/২০২৪ ইং
বিঃ দ্রঃ এটা আমার পরিচিত জনের মধ্যে ঘটে যাওয়া ঘটনা।