জীবনটা নয় হেলাফেলা পুতুল খেলার মতো,
ভাঙবে গড়বে আবার ভাঙবে যতো ইচ্ছে ততো।
নদীর স্রোত সময় যেমন সামনে বয়ে যায়,
জীবনও ঠিক বয়ে চলে পিছনে না চায়।
আজ যা পারো কালকে বৃদ্ধ হলে পারবে কি?
বয়স নামের বৃদ্ধ ঘোড়া চালাবে দুলকি।
শৈশব-কৈশোর-তারুণ্য হয় হেসে খেলে পার,
যৌবনে ভর করে কাঁধে শক্ত বোঝার ভার।
ভিত্তি যদি না হয় শক্ত সুরম্য প্রাসাদ,
এক নিমেষেই ধ্বসে গিয়ে যায় হয়ে বরবাদ।
অধ্যয়নে ফাঁকি পড়লে ভিত হবে দুর্বল,
কর্মক্ষেত্রে পদে পদে ঝরবে চোখের জল।
পিতা-মাতা গুরুজনের দায়িত্বভার নিতে,
কষ্ট হবে, লজ্জা পাবে, লাগবে সবই তিতে।
কর্মপটু, সুশিক্ষিতের মর্যাদা সবখানে,
বিত্ত আসে, চিত্ত হাসে সবাই সম্মান দানে।
বয়স চুরি হয়ে গেলে পারবে কি রোধ করতে?
সামনে যে যায় শত চেষ্টায় পারবে তাকে ধরতে?
তেমনি বেঠিক পথে সময় করলে হেসে নষ্ট,
আসবে ধেয়ে হা-হুতাশা বাড়বে শুধু কষ্ট।
পিছের নায়ের সঙ্গে যদি পাল্লা দিতে চাও,
পড়বে তুমি আরো পিছে ত্বরাবে তার নাও।
সামনে দৃষ্টি রেখে যদি দৃঢ় পায়ে চলো,
পাবে তুমি যা পেতে চাও বাড়বে মনে বলও।
অভাব যদি দাঁত কেলিয়ে সামনে এসে হাসে,
বন্ধু-বান্ধব, স্বজন-সুজন কেউ রবে না পাশে।
ওরা সবাই দুধের মাছি- দুধ ফুরালে নেই,
তোমার দুঃখে তুমি কাঁদবে ওরা নাচবে ধেই।
১৫/০৭/২০২৪ ইং
বর্তমান সময়ের অত্যাচার্য আবিষ্কার মুঠোফোনের কবলে পড়েছে তরুণ প্রজন্ম। বয়স্ক মানুষেরাও বাদ যাচ্ছে না। তরুণ প্রজন্ম দেশ এবং পরিবারের অমূল্য সম্পদ, ভবিষ্যৎ। মুঠোফোনের নেশায় তরুণ প্রজন্ম এতোটাই মত্ত যে অধিকাংশের পড়ালেখা ধ্বংসের পথে। তাদের নিয়েই আজকের এ কবিতা। যদিও কবিতার কোথাও মুঠোফোনের কথা বলা নেই। তথাপিও কবিতার অন্তরালে, পর্দার আড়ালে রয়েছে মুঠোফোন। যে কোনো প্রতিযোগিতায় যে প্রথম হয় সে পুরস্কার পায়, তার কদর বাড়ে। যারা পিছিয়ে থাকে তারা পায় না। তরুণ প্রজন্মকে সেই কথাটা বোঝানোর জন্য এই কবিতা।