একাকিত্বের দিগন্ত জুড়ে অপার বেদনা রাশি,
তোমার মুরতি এঁকে হৃদে বিমর্ষ বদনে হাসি।
চারিদিকে চেয়ে চেয়ে দেখি নিঃসঙ্গ শশীর মতো,
কোথায় আলোর দিবাকর?- মুছিতে বেদনা যতো--
আসিবে কি পিয়াসির বুকে ভোরের রোদ্দুর হয়ে?
অথবা দূর্বা ঘাসের 'পরে শিশিরের বারি বয়ে--
ব৺ধুয়ার বিরহ ব্যথায় ঢেলে দিতে সঞ্জীবনী,
কুয়াশার চাদর সরিয়ে এসো হয়ে দিনমণি।
কুসুম কোমল হাতে যবে রেখেছিলে তুমি হাত,
মনের শুভ্র মঞ্জুরী সুখে ভেবেছিল সুপ্রভাত।
হতাশার অগ্নিবান ছুঁড়ে চলে গেলে বহুদূরে,
নিষাদের তীর বিদ্ধ আমি ব্যথার করুণ সুরে,
শুভ্র হাতে নিয়ে পুষ্পাঞ্জলি বিনিদ্র রজনী জাগি,
তোমার পদ ধ্বনির আসে আমি এই হতভাগী।
০৩/০১/২০২৫ ইং
বিঃ দ্রঃ অনেকেই বিয়ের পরে স্বপ্নের সিঁড়িতে পা রাখা নব পরীণীতা বধূকে মা-বাবার কাছে একা রেখে সচ্ছল জীবনের আশায় চলে যায় বিদেশ বিভূঁইয়ে। আর নব বিবাহিতা বধূ একাকিত্বের দহনে পুড়তে পুড়তে চোখের জলে বালিশ ভেজায়। আবার কেউ কেউ জড়িয়ে পড়ে পরকীয়ায়। এঁদের দুঃখ-বেদনা নিয়েই আজকের কবিতা।