বৈকুণ্ঠ অনেক দূরে--
খুঁজিলে বৈকুন্ঠ তুমি পেতে পারো কন্ঠকিত এ ধরার মাঝে
এখানে অরুণ হাসে
কখনো মেঘেরা করে কিশোরী নর্তন
বর্ষার ধ্রুপদী নৃত্য কী যে মনোহর
ডাহুক ভেকের ডাক, ঝিল্লির নিনাদ
পুলক জাগিয়ে দূর করে অবসাদ
সূর্যের প্রখর তাপে মাঝে মাঝে নিদয় পীড়ন
নিদারুণ বরষায় কর্মহীন গরিবেরা করে অনশন
এখানে নিশির শেষে পাখির অধরে ভোরে মধুর কূজন
পুষ্পশাখে কোমলাক্ষে চেয়ে থাকে রূপসী কুসুম
সুরভিত বাতাসের মৃদু পরশন
আবেশে জড়িয়ে সিক্ত করে দেহ মন
বসন্তে অশোক বনে আহা কী যে রূপ
পলাশ-শিমুল হাসে কী যে অপরূপ
তারই মাঝে কোকিলের সুললিত সুর
মনো মাঝে বেণু বাজে আহা কী মধুর
রঙিন কৃষ্ণচূড়ার টকটকে লাল
কী আবেশে অভিভূত করে যে সকাল
এখানে এ ধরণীতে শত শত কর্দমাক্ত মনের মানুষ
আনাচে কানাচে করে খেলা
ভালো ও মন্দের মাঝে সাপ-লুডু খেলা খেলে কেটে যায় বেলা
এখানে হায়েনা আছে- হিংস্র জানোয়ার
রক্ত লোটে, অর্থ লোটে
অনায়াসে লুটে খায় আর্তের আহার
আনন্দে ইজ্জত লোটে যেন ওরা হিংস্র নখায়ুধ
তথাপিও চেয়ে দেখো
কণ্টকিত গোলাপের শাখে সুশোভিত কুসুম প্রলয়
বাধার প্রাচীর শেষে তেমনি প্রতীক্ষা করে সুখের সময়
এখানে বিদ্বেষ আছে
রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষায় হিংসার প্লাবন
এরই মাঝে দৃপ্ত পায়ে যদি চলা যায়
উদিবে সৌভাগ্য সূর্য সুখের পরশ দিয়ে বিষণ্ণ ব্যথায়
যেভাবে বসন্তে ঝ'রে জেগে ওঠে নব কিশলয়
এখানে সুখের হল্লা দুঃখের অনল নাচে বায়
এখানে বৈকুণ্ঠ আছে এই বসুধায়
১৩/০৭/২০২৪ ইং
বিঃ দ্রঃ বৈকুণ্ঠ মানে "বিষ্ণুলোক" যার অপর নাম "গোলক"। সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী মানুষ মাত্রই বিষ্ণুলোক বা গোলক বা বৈকুন্ঠ প্রাপ্তির আশা করে।