নীল পাড়ের ওই সাদা শাড়ি চপ্পল দিয়ে পায়,
দাঙ্গাকারী, জঙ্গি ডেকে বলছে তোরা আয়।
যেমন খুশি করবি তোরা আমি আছি চুপ,
তোদের মাথায় আছে আমার আশীর্বাদের ধূপ।
আমার তো চাই গদিখানি যদি বুঝি লাগে,
কৌশল করে রাখবো আমি শিয়াল-কুকুর বাগে।
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় আর স্কুল রাখতে মুঠোয়,
পদ-পদবী ছিনিয়ে নিচ্ছি খুড়োর কলের গুঁতোয়।
ঘাড় তেড়া ভাব ছুটিয়ে দেবো বেতের লাঠির ঘায়ে।
সাহস কেউ আর পাবে না রে যেতে ডাইনে-বায়ে।
আমার খেয়ে আমার প'রে করলে কেউ বাঁদরামি,
এক গুঁতোতে বুঝিয়ে দেবো আমি তাদের স্বামী।
আমজনতার করের টাকায় নিচ্ছি আমি বেতন,
তাদের মাথায় চরণ রেখে উড়াই বিজয় কেতন।
আমার মতো কবি-শাসক তারা কি আর পাবে?
নির্বুদ্ধিতার জন্য গুঁতো না হয় একটু খাবে।
আহার করতে দু-একটা ভাত পড়তে পারে বাইরে,
হাজার লোককে চাকরি দিলে ত্রুটি ধরতে নাইরে!
নেতা-মন্ত্রীর ছেলে-মেয়ে চাকরি না পায় যদি,
কে বাঁচাবে লোভনীয় আমাদের এই গদি?
কার কথাতে বিচার বিভাগ ঘাড় করে বল তেড়া?
পরের ছাগল ধান খাবে তার রুখতে পারবে বেড়া?
এটা আমার বাপের তালুক, জনতা ছারপোকা!
যখন খুশি যেমন খুশি দেবো তাদের ধোঁকা!
তোমরা যারা কলমজীবী ফালতু কেন রাগো?
ভালো থাকতে চাইলে আমার কাছে ভিক্ষা মাগো।
বাড়াবাড়ি করলে বিপদ নেকড়ের মতো ঘাড়ে,
লম্ফ দিয়ে পড়ে কিন্তু রক্ত চুষতে পারে।
২২/০৬/২০২২ ইং
স্বামী - প্রভু