আর কতকাল ঘুমোবে তোমরা আর কত রবে চুপ?
জেগে উঠে নারী অন্ধ সমাজে দেখাও বাঘিনী রূপ।
কাঁপুক সমাজ, বেহায়া পুরুষ, রাজনীতিকের মাঠ,
ভেসে যাক যত ধর্ষকামীর উড়ন্ত ঠাট-বাট।
ঘরে ঘরে তুমি মা-বোন-কামিনী বাইরে গেলেই নারী,
রেলের কামরা, বাসের ভেতরে ওদের লম্বা সারি।
অন্য সবার চোখের আড়ালে চুপি চুপি যাবে ছুঁয়ে,
ধরা পড়লেই ভদ্র মুখোশে হাতখানা নেবে ধুয়ে।
কিছু কিছু লোক তোমাকেই দুষে ওদের পক্ষ নেবে,
সুযোগ পেলেই ওদের মুখোশ সহস্তে খুলে দেবে।
একলা পেলেই নোংরা পুরুষ তাকায় লোভের চোখে,
হায়েনা তোমায় গেঁথে নিতে চায় হিংস্র থাবার ন'খে।
সারা দেশ জুড়ে রাজনীতি আজ হয়ে গেছে নর্দমা,
ধর্ষক, খুনি রক্ষা করতে লোক হয়ে যায় জমা,
ইশকুলে যাও, বাজারে কিংবা কলেজের মোড়ে মোড়ে,
মামা-কাকাদের আদরে পুষ্ট বখাটে বাঁদর ঘোরে।
লম্বা চুলের কেতাদুরস্ত বাহারি ফ্যাশান রাজ,
ঠোঁটে সিগারেট ধোঁয়া ছেড়ে ছেড়ে বোঝায় নিজের ঝাঁজ।
কিছু বললেই- "কে আমি জানিস?" মিনিস্টারের ছেলে,
"পার্টির ছেলে" বলে অনেকেই তাকায় খানিক হেলে।
ওদের জন্য মামা-কাকা আছে নেই তোমাদের কেউ,
নারী বলে রোজ তোমাদের পিছে হাঁটছে ঘৃণ্য ফেউ।
আদালতে যাবে? ওদের পিছনে পাড়ার কাকা ও দাদা,
ভীতু জনগণ চুপ করে রবে তুমি হয়ে যাবে হাঁদা।
নিজ সম্মান রক্ষা করতে ছুরি-কাঁচি রাখো হাতে,
পথে-ঘাটে যারা ছুঁয়ে যেতে চায় ডোবাও রক্তপাতে।
বিচারের ভার কাউকে দিয়ো না- তুলে নাও নিজ হাতে,
শুদ্ধ কর এ নষ্ট সমাজ অরির রক্ত পাতে।
লোটার আগেই লুটেরাকে ধরো ভেঙে দাও বিষ দাঁত
তবেই তোমার ইজ্জত রবে ঘুচে যাবে উৎপাত।

১০/০৩/২০২৫ ইং

বিঃ দ্রঃ তিন-চারদিন আগে এক ষাটোর্ধ দাড়িওয়ালা বুড়ো ট্রেনে একটি মেয়ের সাথে চরম অসভ্যতা করেছে। তারই প্রেক্ষিতে এই কবিতা।