শনশন করে ঘোরে ওই দেখো ফ্যানটা
চুপচাপ বসে আছি ভালো নেই মনটা l
টিপ টিপ টুপটাপ ঝরে যায় বৃষ্টি
কাগজ-কলম নিয়ে ছড়া এক সৃষ্টি l

দাদু যায় বলে আর রাই সেটা লিখে যায়
এইভাবে জাহ্নবী লেখাপড়া শিখে যায় l
জাহ্নবী যার নাম রাই তার ডাক নাম
এই খুশি ডগমগ এই করে অভিমান l

এতদিন জাহ্নবী বই থেকে পড়তো
আর তার নিজ মনে কিছু ছড়া গড়ত l
আজকের দুপুরে সে কাগজ-কলম পায়
আর তাই লিখে ফেলে পুরো এক ছড়াটাই l
৮৭৫

পালকি : যাদব চৌধুরী
(রায়গঞ্জ পূর্বাশা প্রগতি মঞ্চ প্রভা প্রজ্জ্বলন ২০২২ অষ্টম সংকলনে প্রকাশিত)

পালকি চলে দুলকি চালে গ্রাম সীমানা ছেড়ে
নতুন কনে পালকি কোণে বসে পা হাত নেড়ে,
- হুহুম না রে হুহুম না, চার বেহারার ডাকে
নতুন কনের পড়ছে মনে ছেড়ে আসা মা-কে l

পালকি বাহন এক, মানুষই তো চড়ে
যুগ যুগ ধরে কতো কথকতা গড়ে,
ডুলি বলি শিবিকাও, বয় কনে বর
মানুষই বহন করে ঘাড়ের ওপর l

এখন তো কত শত যান পথে চলে
একটা সময় ছিল প্রাচীন আমলে,
শুভকাজে সেবাকাজে আরো কতো কাজে
পালকির ব্যবহার গৃহীত সমাজে l

কাঁধে তুলে যান এক বেহারারা চলে
দম পেতে মুখে তারা সুর বেঁধে চলে,
নতুন কনেটি থাকে গুটিশুটি বসে
পালকির পথ চলা রাত্রি দিবসে l

কিশোরীর মনে বুঝি সাধ এসে জাগে
পালকিতে চড়েছে সে পরম আবেগে,
পাশে তার বসে আছে টুকটুকে বর
এমন দেখেছে, তাই বিবাহের জ্বর l