১) ভূতকে পাই না ভয় :
ভূতকে আমি পাই না মোটেই ভয়
যদি থাকে আমার সাথে জনা পাঁচ ছয় ।
আঁধার রাতে কবরখানায় যাবোনা তো একা
তাই বলে কি ভাবছো আমায় ভীতু ?
দিনদুপুরে হাটের মাঝে চাও দেখতে ?
ভূতকে আমি পিটিয়ে করবো ছাতু ।
শুনেছি ঐ ভাঙা পোড়ো বাড়ি
গভীর রাতে বৃষ্টি বাদল দিনে
সেইখানেতে ভূতেদের আস্তানা ।
- অমন স্থানে যাবোনা তো আমি ।
আসুক না ভূত আমার কাছে নিজেই
যখন আমি আছি হয়তো ভিজেই
বাবা আছেন মাও থাকেন সাথে
থাকেন কাকা আরও কতো আপন
সবার সাথে করি যখন গল্প
আসুক না ভূত সাহস করে
দেখবে মজা তিনপূর্নির ঘাটে
ভূতের ব্যবসা উঠিয়ে দিবো লাটে ।
২) ভূত কি হয় সত্যি ?
ভূত কি হয় সত্যি ?
মানো কি এক রত্তি ?
দেখি না তো ভূত কখনো শুধু পড়ি গল্প
ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একই কথা বানানো রূপকল্প !
কতো সব ভূতের ছবি আঁকেন শিল্পীজন
রোমহর্ষক ভয়ঙ্কর নির্জন বিজন ।
গল্প হলেও সত্যি বলে চালান কতো তত্ত্ব
ন্যাকামোর রকম দেখে জ্বলে গা পিত্ত ।
কিন্তু যখন নিশুতি রাতে হাওয়ায় কাঁপন ওঠে
অদ্ভুত সব শব্দগুলো দিগ্বিদিকে ছোটে
অন্ধকারে জ্বলে ওঠে হঠাৎ কারো চোখ
ছায়ামূর্তি ঘাড়ের কাছে এমনটা হয় বোধ
সারা শরীর কেঁপে ওঠে অজানা এক ভয়ে
এই বুঝি ভূত চাপলো ঘাড়ে আতঙ্ক হৃদয়ে ।
ভূত নেই এই কথাটা তখন কি আর মানার ?
ছিপ ছিপ বৃষ্টিতে যে বুক ঢিপ ঢিপ আমার ।
কখন আছি সদলবলে কখন আমি একা
কখন বা আলো ঝলমল অন্ধকারে বোকা ।
সেই হিসাবে ভূতের তত্ত্ব হাজির করি আমি
আসলে ভূত আছে কি নেই জানেন অন্তর্যামী ।
* অরুণ মন্ডল সম্পাদিত ছড়ার খেয়া কিশোর ত্রৈমাসিক ছড়াপত্রে মে ২০১৯ সালে প্রকাশিত, ২১ তম সংখ্যা, পৃষ্ঠা - ১৩