মাথার ওপর ঘোরে এক ফ্যান হাওয়া দেয় ঘর জুড়ে
সারাদিন তার টুংটাং চলে ক্যাঁচ কুঁচ মৃদু সুরে,
দাদুভাই তাঁর যুবক বয়সে কিনেছেন ফ্যানখানা
কোথা সেই দাদু তবু তাঁর ফ্যান ঘুরে চলে একটানা l
তালের পাতার হাতের পাখায় শীতল বাতাস মেলে
কিন্তু বিপদ বাতাস মেলে না হাতখানা থেমে গেলে
ভীষণ গরমে রাত জেগে আর কতো নাড়ি নিজ হাত
বিদ্যুতে চলা ফ্যান পেয়ে আজ এক ঘুমে সু-প্রভাত l
চলে চলে ফ্যান ক্লান্ত যখন গতি যায় কিছু কমে
ধীরে ধীরে তার শীতলতাটুকু তাও কমে কম দমে
ফ্যানের আজকে বদলির যুগ এসি মেসি কতো দেখি
যতোই আসুক তবু মনে হয় এই শীতলতা মেকি l
নদীর বাতাস স্বাধীন সত্তা প্রাণ ভরে যায় খেয়ে
কিসের তুলনা ফ্যানের বাতাস কৃত্রিম পুরো গিয়ে,
রেডিমেড খাই অসুখ বানাই বাত কাশ শুধু মেলে
খোলা প্রান্তর নদী মাঠ বন শুদ্ধ বাতাস খেলে l
ফ্যান তার কতো রূপ বিদ্যুত ম্যানুয়াল
হাতে নাড়ি তালপাতা থেমে গেলে নাজেহাল,
বিদ্যুতে ফ্যান চলে টেবিলে বা সিলিং-এ
পেডলার তাও আছে টের পাই বিলিং-এ l
ফ্যান এক কিনেছিল হারানের পিসিমনি
অল্প টাকায় পেয়ে বড়ো বেশি খুশি তিনি,
চার হাত বদলিয়ে ধাপে ধাপে দাম কমে
পিসিমনি হাওয়া খান আওয়াজটা গমগমে l
এই ঘর সেই ঘর সব ঘরে ফ্যান চাই
যদিও অনেক ঘরে থাকবার লোক নাই,
চলবে না ফ্যান যদি ঝুলে তার লাভ কি ?
বোঝাবে কে লোকটাকে আছে তার বাপ কি ?
শোনে নাকো কারও কথা হুজুগের সর্দার
যখন যা ভূত চাপে সেটা করা দরকার,
এমাসে ঠিক করে কিনে যাবে শুধু ফ্যান
সবখানে হানা দিয়ে ফ্যান কেনে সেই ম্যান l
৮৮৭