এই পৃথিবীতে সকলেই ভালোবাসার কাঙাল । একটুকু ভালোবাসার জন্য চলে অনন্তকাল অপেক্ষা । ওই ভালোবাসাটুকু পেলে জীবনকে মনে হয় সার্থক । ভালোবাসা না পেলে জীবনের অন্য অনেক পাওয়া অর্থহীন হয়ে যায় । জীবনটাকেও নিরর্থক বলে মনে হয় । তাই ভালোবাসা পাবার আকাঙ্খায় প্রিয়ার মনোরঞ্জনের প্রয়াস চলে, চলতে থাকে । চলতে থাকে ততক্ষন যতক্ষন না মনের ইচ্ছা পূরণ হয় ।
"যদি ভালোবাস" রচনায় কবি কল্যাণ চন্দ্র রায় তাঁর না পাওয়া ভালোবাসাকে নিয়ে এমনই সংকল্প ব্যক্ত করেছেন । তিনি বহুদিন বহুরাত তাঁর প্রিয়ার কাছে প্রেমের প্রস্তাব রেখেছেন । বহু আবেদন নিবেদন করেছেন । তবু এখনও পর্যন্ত তার কাছ থেকে সদর্থক কোনো ইঙ্গিত পান নি । হয়তো অতীতে প্রিয়ার প্রতি ব্যবহারে, তাঁর আচরণে কোনো ত্রুটি হয়ে থাকবে । তার জন্য তিনি বারংবার ক্ষমাও চেয়েছেন । কিন্তু প্রিয়ার হৃদয় তাতে গলে নি । ক্ষমা পান নি তিনি । হয়তো অভিশাপ দিয়েছেন । সেই অভিশাপ বহন করে চলেছেন কবি ।
ভুলের জন্য তিনি অনুতপ্ত । অনুতাপের দহনে পুড়ে তাঁর মন ছাই ছাই হয়ে গেছে । ভাগ্যদেবী হয়তো তাঁর প্রতি প্রসন্ন নন । তাঁকে নিয়ে ঠাট্টা করছেন । যেহেতু প্রিয়ার কাছ থেকে তিনি ক্ষমা পান নি, তাই জগত তাঁকে নিয়ে উপহাস করছে এবং তাঁকে সেই উপহাস সইতে হচ্ছে ।
কিন্তু মানুষ কখনও আশা ত্যাগ করে না । এই পৃথিবীর সব কিছুর বিনাশ আছে, কিন্তুু আশার কোন বিনাশ নাই । ঝড়ে আহত ডানাভাঙ্গা পাখিটিও উড়তে চায় । মরা নদীও বুকভরা স্রোত চায়। তাই কবিও আশা নিয়েই বেঁচে আছেন । প্রিয়ার কাছে অনন্তকাল তিনি ভালোবাসা নিবেদন করে যাবেন ।
তাঁর প্রত্যাশা একদিন প্রিয়ার ক্ষমা তিনি পাবেন । একদিন প্রিয়তমার ভালোবাসা তাঁর জীবনকে সার্থক করে তুলবে ।
কবিকে জানাই আন্তরিক শুভকামনা ! !