মানুষের জীবনযাপনের অভিজ্ঞতা বিচিত্র । কখনও তাকে কঠোর পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় । কখনও জীবন চলে আয়েসে । এই উভয় ধরণের জীবনযাপনেই বিশেষ এক প্রিয়জনের উপস্থিতি জীবনকে অনেকটাই সহজ, অনেকটাই সতেজ করে তোলে । জীবন রঙিন হয়ে ওঠে ।
কবি অচিন্ত্য সরকার "তোমায় যদি পেতাম আবার" কবিতায় এই বিষয়টিকেই তাঁর নিজের মতো করে প্রকাশ করেছেন ।
কবি বলছেন, বর্তমান জীবনযাপনে তিনি হাঁপিয়ে উঠেছেন । দৈনন্দিন কাজ উদ্ধারে, দায় দায়িত্ব পালনে জীবনের থেকে আনন্দ, সতেজতা হারিয়ে গেছে । এমন দিনে তিনি খুব বেশি করে তাঁর প্রিয়জনের উপস্থিতি অনুভব করছেন । তাঁর পরশ, উপস্থিতি থাকলে জীবনে প্রাণপ্রবাহ বয়ে যাবে । একুশের উত্তাপ অনুভব করবেন তিনি । উত্তরের বাতাস বইবে । প্রকৃতিতে এবং মনে ফুল ফুটবে । হৃদয় নেচে উঠবে । ফাগুনী খুশি অনুভব করবেন তিনি ।
দায়সারা প্রেমের আবদ্ধতা নয়, পরস্পরের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ প্রেমের আবহে বাউল মন নিয়ে মেতে উঠবেন তাঁরা । জীবন এক নতুন বিচিত্রতায় তাঁদের যাপিত মুহূর্তগুলিকে সৃজনশীল আনন্দে ভরে তুলবে । সকাল সন্ধ্যাগুলি অর্থবহ হয়ে উঠবে ।
তথাকথিত ভালো ছেলে, ভালোমানুষ হবার ভ্রম থেকে বেরিয়ে এসে একটু অন্যধরণের জীবন যাপন করবেন তাঁরা । মনে আসবে নতুন সবুজ রঙ, হৃদয়ে আসবে আনন্দের সুর । একটু অবুঝের মতোই আনন্দ করবেন তাঁরা । পরিশ্রমক্লান্ত শরীর আরাম পাবে ।
প্রিয়জনকে পাশে পেলে প্রতিটি নতুন সময় প্রকৃত অর্থেই নতুন হয়ে ওঠে তাঁর জীবনে । সব ধরণের জরা জীর্নতার বাঁধন ছিঁড়ে যাবে, সমস্ত কাঠিন্য তরলতার আবহে ভরে উঠবে । বয়সের কারণে, মানসিক নানান চাপের কারণে, যে জীবনের গতি কমে গিয়েছিল, প্রিয়জনের সঙ্গ পেলে সেই জীবনেই গতি আসবে । যেন রক্ত তরল হয়ে তার প্রবাহ ছুটবে সৃষ্টির পথে ।
কবিকে জানাই আন্তরিক শুভকামনা ! !