সমাজ চলমান । ভালো মন্দ মেশানো । একদিকে মানুষ যখন সৃজনশীল শুভ কাজে ব্যস্ত তখন সেই সমাজেরই অন্য একটি অংশে চলে নারকীয় খেলা । সমাজে প্রতিনিয়ত এমন পরস্পরবিরোধী ঘটনা ঘটে চলেছে । এই ভাঙাগড়ার ইতিহাসই সমাজের সত্য ।
কবি মোঃ হাবিবুর রহমান বাবলু "সমাজের এক কাহিনী" রচনায় সমাজের বুকে ঘটে চলা এমনই কিছু ঘটনার উল্লেখ করেছেন যেখানে কামুক পুরুষের লোলুপ দৃষ্টি নারীদের মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকারকে অস্বীকার করে । এমনকি শিশুরাও সেই কুদৃষ্টি থেকে রক্ষা পায় না । প্রতিনিয়ত সমাজের বুকে এমন ঘটনা ঘটে চলে যেখানে আবালবৃদ্ধবনিতারা কামুক পুরুষের দ্বারা হাটে মাঠে ঘাটে লাঞ্ছিত অপমানিত হচ্ছেন । নারীর মর্যাদা হচ্ছে তার সম্ভ্রম । তার সম্মান । যে পুরুষসমাজ নারীর মর্যাদার এই মানদন্ড নিরূপন করেছে, তাঁরাই নারীর নিরাপত্তার দায়িত্ব নেয় নি । কাজের টানে অভিভাবকেরা যখনই বাইরে যায়, লোভী কামুক পুরুষ তখনই একা নারীকে আক্রমণ করে, তার সম্মান সম্ভ্রম নিয়ে খেলা করে । নারীর কোনো অপরাধ নেই । অথচ পুরুষের কৃত এই অপরাধের বোঝা বইতে হয় নারীকেই । সেই হারানো সম্মান যেন কোনোদিন ফেরত পাওয়া যায় না । সে ক্ষত যেন কোনোদিন নিরাময় হবার নয় ।
একদিকে চলছে কবি শিল্পীদের সৃজনকাজ । অন্যদিকে একশ্রেনীর নোংরা মানুষ প্রতিনিয়ত এই অপকর্মগুলি করে চলেছেন । এই নিয়েই সমাজ । রোজিনারা কামুক পুরুষের হাতে লাঞ্ছিত হয়ে চলেছেন । খবরের কাগজে, দূরদর্শনে, অন্য সোসাল মাধ্যমে তা প্রচারিত হচ্ছে । সোরগোল পড়ে যাচ্ছে । আন্দোলন হচ্ছে । প্রশাসন ক্ষেত্রবিশেষে কখনো সক্রিয় কখনো বা নিস্ক্রিয় । কিন্তু সমাজের বুকে ঘটে চলা এই অপকর্মগুলিকে পুরোপুরি রোধ করা সম্ভব হয় নি ।
এরকম চলতে দেয়া যায় না । সমাজের বুকে ঘটে চলা ফুলের কুঁড়ির মতো নারীশরীরকে ছিন্নভিন্ন করার পাশবিক খেলা বন্ধ করতে হবে । এর প্রত্যাঘাত প্রয়োজন । এমন লোলুপ অত্যাচারী মানুষদের চিহ্নিত করে তাদের উপযুক্ত শাস্তিবিধান করতে হবে । তাদের সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে । তাদের হাত থেকে সমাজকে রক্ষা করতে হবে ।
কবিকে জানাই শুভকামনা !