সুন্দর ছন্দোবদ্ধ কবিতা ।
আলোচ্য "সব রেখেছি" রচনায় কবি ইয়ামিন বসুনিয়া প্রিয়তমার জন্য অপেক্ষা করে বসে আছেন । প্রেমিক কবি উজাড় করে দিয়েছেন তাঁর হৃদয়ের সবটুকু ভালোবাসা । নিজের হৃদয়দুয়ার খুলে প্রিয়তমার জন্য সব আয়োজন করে রেখেছেন । অতীত দুঃখকষ্টের কথা এই মুহূর্তে ভুলে যেতে চান তিনি । কিসের দুঃখ ? কিসের ব্যথা ? হয়তো অতীতে প্রিয়তমাকে কোনো কষ্ট দিয়েছেন তিনি । তাঁর দিক থেকে হয়তো কোনো দুর্ব্যবহার হয়েছে । হয়তো সেকারণেই প্রিয়তমা দূরে সরে গেছেন । প্রিয়তমার সেই দুঃখকষ্ট তাঁর ভিতরেও বেজেছে । তিনিও কষ্ট অনুতাপে ভুগেছেন । কিন্তু এখন যখন সে সব অতীত হয়েছে, প্রিয়তমা তাঁকে ক্ষমা করেছেন, আবার আসবেন বলেছেন, তাঁর আসার প্রাকমুহূর্তে প্রেমিক কবি তাই মনের মধ্যে কোনো গ্লানি রাখতে চান না । সব ভুলে গিয়ে নতুন উদ্যমে অন্তরের ভালোবাসাটুকুকে আশ্রয় করে আবার তিনি ঘর বাঁধতে চান । তার জন্য সব আয়োজন করবেন তিনি । করে ফেলেছেন অনেকটাই । এই আয়োজন যতোটা বাইরের তার অনেক বেশি মনের আন্তরিকতার । মনকে ভালোবাসার রঙে রাঙিয়ে তুলেছেন তিনি । অস্তরাগের খানিক আগে আকাশ যেভাবে রঙের খেলায় সেজে ওঠে, নিজের বুকের ভাঁজে ভাঁজে ভালোবাসার সেই সবটুকু রঙকে অতি যত্নে ধরে রেখেছেন তিনি । নীল আকাশের বুকে যেমন একফালি চাঁদ ভালোবাসার সুবাস ছড়িয়ে দেয়, তাকেও নিজের মধ্যে ধারণ করে রেখেছেন প্রেমিক কবি । নিজ হৃদয়আকাশে ভালোবাসারূপ শত শত তারা ফুটিয়ে তুলেছেন । সেই তারার মালা বাঁধবেন তিনি । সেই মালা পড়িয়ে দিবেন প্রিয়তমার গলায় । মনে ভালোবাসার আবির মাখবেন । ভালোবাসার সেই আবির রঙে ভরিয়ে তুলবেন প্রেমের আঙিনা । তাঁর ভালোবাসার আকাশে রামধনু উঠবে । প্রিয়তমার পায়ে আলতা পড়িয়ে দিবে সেই রামধনু । মন ভালোবাসায় পূর্ন । নৌকোর মতো হৃদয়নদীতে ভেসে বেড়ায় । সেখানে প্রিয়তমাকে সাথী করবেন তিনি । প্রিয়তমার অভিমান ভাঙাতে তিনি চেষ্টা ও আয়োজনের কোনো খামতি রাখতে চান না । বসন্তের যতো ফুল, প্রকৃতির যতো গান, সব তিনি সঞ্চয়ে রেখেছেন । প্রিয়তমার অভিমান ভাঙাতে সব তিনি ব্যবহার করবেন । প্রিয়তমার আগমনের প্রতীক্ষায় হৃদয়আসন পেতে তিনি অপেক্ষা করে বসে আছেন । শুধু এই জীবনে নয়, আগামী লক্ষ লক্ষ জন্মে তিনি তাঁর প্রিয়তমাকে সাথে পেতে চান । তাঁর প্রাণ জুড়ানো কথা শুনে যেতে চান ।
কবিকে জানাই আন্তরিক শুভকামনা ! !