"শুধু তোমার জন্য" রচনায় কবি জে আর এ্যাগ্নেস
ভালবাসা দিবসে স্বর্গবাসী মায়ের জন্য কবিতার মাধ্যমে ভালবাসা উপহার প্রেরণ করেছেন l ভালবাসা দিবসের মাহাত্ম্য যেন শতগুণ বেড়ে গেছে l সন্তানের কাছে মায়ের চেয়ে আপন আর কেউ হয় না l আদর, স্নেহ, ভালবাসা, কর্তব্যবোধ দিয়ে প্রতিটি মা তাঁর সন্তানকে পলে পলে বড়ো করে তোলেন l যতোদিন মা জীবিত থাকেন, তাঁর প্রতিটি মুহূর্ত সন্তানের কল্যাণ কামনায় উত্সর্গীত থাকে l কিন্তু মা কারো চিরকাল জীবিত থাকেন না l কালের নিয়মে তাঁকেও একদিন ভবসিন্ধুর পারে যেতে হয় l কিন্তু মায়ের সঙ্গে সন্তানের অন্তরের যে টান, তা অটুট থাকে l সন্তানের হৃদয়ে মায়ের প্রতি ভালবাসা পৃথিবীর শেষ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকে l মা যেখানেই থাকুন, সন্তানের প্রতি সদা তাঁর আশীর্বাদ বর্ষিত হতে থাকে l কবিতাটির প্রতিটি ছত্রে পরলোকগত মায়ের প্রতি সন্তানের ভালবাসা প্রকাশ পেয়েছে l বিশ্ব ভালবাসা দিবসে সন্তানের মানসনেত্রে বার বার মায়ের সুন্দর মুখের ছবি ভেসে উঠেছে l
অনেক দিন হলো মা গত হয়েছেন l বিষয়টি ভাবলেই, মা আর ইহজগতে তাঁদের সঙ্গে নেই - মনের মধ্যে এই ভাবনার উদয় হলেই মনটা শোকে কাতর হয়ে পড়ে l কন্ঠস্বর রুদ্ধ হয়ে যায় l শ্রাবণধারার মতো দু চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়তে থাকে l কিছুতেই সংবরণ করা যায় না l মায়ের মমতাময়ী সুন্দর মুখটা চোখের সামনে ভেসে ওঠে l তাঁর আদর সোহাগের প্রতিটি ঘটনা মনে পড়ে যায় l শিশুকালে খেলার ছলে মা-কে কতো জ্বালাতন করা হয়েছে l কিন্তু মা বিরক্তি প্রকাশ করেন নি l প্রতিদানে ভালবাসা ভরা হৃদয়ে সন্তানকে আলিঙ্গনে আবদ্ধ করেছেন l তাঁর সেই হৃদয় নিংড়ানো উজাড় করা ভালবাসা দিয়ে সন্তানের হৃদয় জয় করে নিয়েছেন l মায়ের ভালবাসা তাঁর সকল সন্তানের জন্য সমান থাকে l সকল সন্তানকে তিনি তাঁর ভালোবাসার পরশে মানুষ করে গড়ে তোলেন l তবু সব সন্তানই স্বার্থপরের মতো মায়ের সবটুকু ভালবাসা একাই পেতে চায় l এ আর কিছুই নয়, মায়ের ভালবাসার অপার মহিমা, সন্তানের কাছে এর থেকে মহত্তম আর কিছু নয় l পরলোকগত মা এখন সঙ্গে নেই l আছে শুধু তাঁর স্মৃতি l উপযুক্ত সন্তান যথাযথ মর্যাদায় মনের গোপন মনিকোঠায় সেই স্মৃতিকে সযত্নে লালন করে রেখেছেন l সোনালী ফ্রেমে বাঁধানো মায়ের ছবিতেও সেই স্মৃতি ধরা আছে l বিশ্ব ভালবাসা দিবসে সন্তান তার হৃদয়ের সবটুকু ভালবাসা শুধু মায়ের জন্য নিবেদন করছেন l
সুন্দর রচনার জন্য কবিকে জানাই আন্তরিক শুভকামনা l