দুজন মানুষের মধ্যে যতো রকমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক সবচেয়ে শক্তিশালী, সবচেয়ে মধুর । এই সম্পর্কের সূত্রপাত হঠাৎ হতে পারে । কিন্তু সেই সম্পর্ককে রক্ষা করার দায় থাকে । তার জন্য পরস্পরকে সময় দেয়ার বিষয় থাকে । পরস্পরের জন্য ভাবনা, একই ভাবনায় মিশে গিয়ে পরস্পরের কাছে থাকা, মিলিতভাবে অনেক অনেক অভিজ্ঞতার শরিক হওয়া - এসবের মধ্যে দিয়ে সম্পর্ক গভীর হয়, ভালোবাসার সম্পর্ক দিশা পায় ।
কবি মোঃ মাসুদ রানা 'ভালোবাসাবাসি' রচনায় বলেছেন ভালোবাসা শুধু অনুভবের বিষয় নয়, যাপনেরও বিষয় । একসঙ্গে চলার বিষয় । তাতে করে ভালোবাসা সার্থক হয়ে ওঠে । দুজন মানুষ যে কোনো কারণে পরস্পরের নিকটে এসে প্রেমের সম্পর্কে বেঁধে যেতে পারে । কিন্তু এখানেই শেষ নয় । এ হলো সবে প্রেমের শুরু । তারপর এই প্রেমের সম্পর্ককে চর্চা করার বিষয় থাকে । নানা মাধ্যমে সেই প্রেমকে চর্চা করে যেতে হয় ।
প্রেমের সম্পর্কে স্বপ্ন দেখা শুরু হয় । শুরু হয় সেই স্বপ্নকে সাকার করে তোলার জন্য পথ চলা । ভালোবাসার আকাশে দুটি নক্ষত্র হয়ে তাঁরা প্রেমের পথে চলতে শুরু করেন । চলতে চলতে স্বপ্নের বুনন চলে । এক একটি স্বপ্ন যেন এক একটি গোলাপফুলের মতো রঙিন । তার প্রতিটি পাপড়ির মতো প্রেম ধাপে ধাপে বুনন শক্ত করে । তাঁরা মনের সুখে গান ধরেন । মিঠে দক্ষিনা বাতাস তাঁদের চলার শ্রমকে লাঘব করে ।
এইভাবে প্রেমিকা ও প্রেমিক তাঁদের কল্পিত প্রেমের বাগানে হাঁটতে থাকেন । প্রেমের কবিতা লেখেন । প্রেমের কবিতা পড়েন । প্রেমকে নানা আঙ্গিকে বোঝার চেষ্টা করেন ও নিজেদের জীবনে তা আমল করার প্রয়াস করেন ।
প্রেমের পথ এক অনির্দিষ্টের পথ । অনেকটাই অজানা । একসাথে চলতে চলতেই সে পথের অভিজ্ঞতা হয় । সেই অভিজ্ঞতা পরস্পরের সঙ্গে তাঁরা বিনিময় করেন । কখনো কাগজে লিখে । কখনো মুখে বলে ।
এভাবে একসাথে পথ চলতে চলতে, প্রেম বিষয়ে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে করতে তাঁরা পরস্পরকে চিনতে থাকেন । পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস দৃঢ় হয় । তখন তাঁরা ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখেন । দুজনের প্রেমের সম্পর্ককে একটা পারিবারিক সম্পর্কে বাঁধতে চান । হাসি আমাদের মধ্যে দুজন দুজনকে ভালোবেসে জীবন অতিবাহিত করতে চান । প্রেম এক বাস্তবিক সম্পর্কে বাঁধা পড়ে ।
কবিকে জানাই শুভকামনা !