কর্মই ধর্ম - বলা হয় l এই কথার মধ্যে দিয়ে কর্ম বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দেয়া হয় l অর্থাৎ যে কোনোভাবে কাজ সম্পাদন করে ওঠা বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয় l সেই কাজ কি পথে হলো, কর্তার মানসিকতা কিরকম ছিল, তিনি পরার্থে কাজটি করেছেন, নাকি নিজের অহং চরিতার্থ করার জন্য কাজটি করেছেন - এই বিষয়গুলি অনেকসময় বিবেচনার মধ্যে আনা হয় না l কবি রঞ্জন গিরি তাঁর "কর্মে ধর্ম!" রচনাটিতে ঠিক এই বিষয়টির ওপরই আলোকপাত করেছেন l
কর্ম ধর্ম নয় l কর্মের মধ্যে ধর্ম প্রয়োজন l কর্মের মধ্যে ধর্ম বিষয়টি কিরকম ? কবি নিজেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন l কর্তা যখন কর্ম করছেন তখন সেই কর্মের দ্বারা কারো হিত অর্থাৎ মঙ্গলসাধন হতে হবে l যার মঙ্গলসাধন হবার কথা, এই কর্ম তাকে সুখে রাখবে l তবেই বলা যাবে সেই কর্মের মধ্যে ধর্ম আছে l
যিনি কর্ম করছেন তাঁকে সরলমনে, মনের মধ্যে কোনো ছলচাতুরি না রেখে পরের হিতের জন্য কাজ করতে হবে l তা যদি না হয়, তাহলে কাজ যতো বড়ো মাপেরই হোক, যতো বড়ো কর্মযজ্ঞই হোক, তা নিষ্ফলা হবে l কাজ করার সময় মনের মধ্যে যদি কপটতা থাকে তাহলে সেই কাজ অর্থহীন হয়ে পড়ে l
কাজ করার মধ্যে দিয়ে হৃদয়ের সঙ্গে হৃদয়ের যোগ হয় l ফলে মনের মধ্যে হীনমন্যতা থাকে না l যে কাজ করে এবং যার জন্য কাজ হয় দুয়ের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপিত হয় l হার্দিক অভিনন্দন বিনিময় হয় l সুখবোধ সঞ্চারিত হয় l
কবিকে জানাই অভিনন্দন l