কবি নিজেকে প্রকাশ করেন একটি অবয়বের মাধ্যমে । একটি প্রেক্ষাপট বা ঘটনা রূপকধর্ম ও নান্দনিকতা সহযোগে প্রকাশিত হয় । বহুবিধ অর্থ বা ভাবপ্রকাশ ঘটানো হয়।
সেই অনাদিকাল থেকে আধুনিক কাল পর্যন্ত নিজস্ব চিন্তা-ভাবনাকে মনের মাধুরী মিশিয়ে কবিগণ সৃষ্টি করে চলেছেন নিত্য-নতুন কবিতা।
কবি নিজেকে অন্যের চোখে ফুটিয়ে তোলেন। সকল স্তরের ভালবাসা, দুঃখ-বেদনা, উন্মত্ততা-উন্মাদনার মাঝে নিজেকে খুঁজে পান। সকল ধরণের বিষবাষ্পকে নিঃশেষ করতে পারেন। অকথ্য দৈহিক ও মানসিক যন্ত্রণাকে সাথে নিয়েও অকুণ্ঠ বিশ্বাসবোধ রচনা করে যান ।
কবি আশীষ আচার্য্য "দিশেহারা মনে" রচনায় নিজের মনের এক বিশেষ অবসন্ন অবস্থাকে মেলে ধরেছেন যেখান থেকে তিনি উত্তরনের পথ সন্ধান করছেন । একটা স্বপ্ন ছিলো তাঁর । তার দ্বারা তাড়িত হয়ে তিনি তাঁর চেতনা চিন্তাশক্তি সাময়িকভাবে হারিয়ে ফেলেছেন । কোনো দিশা পাচ্ছেন না । যেন এক পথহারা পাখির মতো অবস্থা তাঁর । মনের ভাবনাগুলো সব ছিঁড়ে যায় । তবু স্বপ্ন দেখতে ভোলেন না তিনি ।
জীবনসমুদ্রে দোল খেয়ে চলেন । মনের ভেতর আলোড়ন চলে । এমন মনে হয় যেন তাঁর জীবন থেকে কিছু হারিয়ে যাচ্ছে । সেই হারানোর বেদনায় তাঁর হৃদয় কেঁদে উঠছে ।
স্বপ্ন হারিয়ে যেতে যেতে তাঁর ভেতরে এক অবিশ্বাস জন্ম নিচ্ছে । হাহাকার করে উঠছে তাঁর মন । যেন তাঁর বুক ছিঁড়ে জীবনবায়ু বাইরে বেরিয়ে আসতে চাচ্ছে ।
তবু কবি নিরাশ হয়ে পড়েন না । স্বপ্ন ত্যাগ করেন না । দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তাঁর হৃদয় । অনড় তাঁর মন । জীবন মৃত্যুর পরোয়া না করে শেষ অবধি জীবনের প্রতিটি ঘাত প্রতিঘাত, বিপদ বিপর্যয় এর সঙ্গে লড়ে যেতে চান ।
জীবন থাকুক না থাকুক, তিনি তাঁর স্বপ্নকে নিয়েই চলতে চান । বাঁচা আর মরার লড়াই নিয়েই টিকে থাকতে চান তিনি ।
কবিকে জানাই আন্তরিক শুভকামনা !