ভালোবাসা এক বিরল প্রাপ্তি । সহজলভ্য যেমন নয়, তেমনই প্রাপ্ত ভালোবাসাকে হালকাভাবে গ্রহণও করা যায় না । যে কোনো সম্পর্কই ভালোবাসা নয় । ভালোবাসাকেন্দ্রিক যে কোনো হালকা রচনাও প্রকৃত প্রেমের কবিতা নয় ।
ভালোবাসার প্রকৃত অনুভব একটি সত্যিকারের ভালোবাসার কবিতার জন্ম দিতে পারে । কিন্তু সেই ভালোবাসায় যদি ছলনা থাকে, ভালোবাসার নামে তা যদি হয় কোনো সস্তা দেহজ বা স্বার্থের সম্পর্ক, তাহলে তার চরিত্র উন্মোচনের জন্যও রসদ জুটে যায় । সেই অভিজ্ঞতা সঞ্চিত থাকে ভালোবাসার সত্তাকে উন্মোচিত করার জন্য ।
কবি জসীম উদ্দীন মুহম্মদ (বোদ্ধা কবি) "একটি সস্তা ভালোবাসার কবিতা" রচনায় কটাক্ষ করেছেন তাঁদের যাঁরা ভালোবাসার নামে ভালোবাসাকে অপমান করে এবং ভালোবাসার কবিতার নামে চটুল হালকা রসের রচনায় প্রবৃত্ত হয় । সামান্য কাছে আসা, কিছু এলোমেলো স্বাদপূরণকে যাঁরা ভালোবাসার নাম দিচ্ছেন, তাঁদের কীর্তিকলাপকে ভালোবাসা বলতে রাজি নন কবি । উপযুক্ত জবাবী রচনায় তিনি তাঁদের ভালোবাসার মধ্যে ভালোবাসার অভাব বিষয়টিকে স্পষ্ট করবেন । প্রকৃত ভালোবাসার চরিত্র চেনাতে সেটাই হবে উপযুক্ত পদক্ষেপ । অনেকটা কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার মতো । প্রেমকে যারা অপমান করে তাঁদের বিরুদ্ধে এভাবেই দাঁড়াবেন তিনি । প্রতিশোধ নিবেন ।
ভালোবাসার চরিত্র একটাই । তার কোনো বিকৃত রূপ হয় না । যেমন অন্য কোনো শব্দ দিয়েও ভালোবাসাকে প্রকাশ করা যায় না । কিন্তু ব্যবহারিকভাবে সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে কিছু মানুষ যেমন ভালোবাসা বিষয়টিকে হালকা করে দিয়েছেন, ভালোবাসার কবিতা রচনার ক্ষেত্রেও দেখা যায়, কিছু তথাকথিত কবি ভালোবাসার অর্থবোধক কিছু প্রতিশব্দ ব্যবহার করছেন যা আদৌ ভালোবাসাকে সূচিত করে না । সস্তা বাহবা লাভের এই প্রয়াস অচিরেই ব্যর্থ হয় । হালকা রুচির সেই সকল সস্তা শব্দ ভালোবাসাকে ব্যথা দেয়, ভালোবাসার কবিতার নামে বহু অকবিতার সৃষ্টি হয় । চোখ বন্ধ করে লিখে দেওয়া কিছু বাচাল শব্দের মাতাল গাঁথুনির এইসকল বাজে রচনা পাঠক কর্তৃক পরিত্যক্ত হয় ।
যেমন প্রকৃত প্রেম, তেমনই প্রকৃত ভালোবাসার কবিতা উপযুক্ত আচরণ, উপযুক্ত প্রতিশব্দ খোঁজে । উপযুক্ত মর্যাদা চায় । সুন্দর রচনায় কবি তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেছেন ।
কবিকে জানাই আন্তরিক শুভকামনা ।