মানুষ আশায় বাঁচে l এটাই ঠিক l আশা মানুষকে সামনের পথে নিয়ে যায় l বেঁচে থাকাকে অর্থবহ করে তোলে l হতাশায় কিছু নেই l কি হবে হতাশা করে? হতাশা কি কোনো সমস্যার সমাধান করে দিবে ? বরং সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলবে l
কবি সুমন রঞ্জন সেন 'যখন দৃষ্ট' রচনায় তাঁর মনের কোণে বেঁচে থাকা এমন কিছু আশার কথা ব্যক্ত করেছেন l সেই আশার তরঙ্গে তাঁর অন্তরে চেতনার সঞ্চার হয়েছে l এই আশা জেগে ওঠার কারণ সদা হাস্যময় চিত্ত তাঁর মনের মানুষ l তাঁর উপস্থিতি, তাঁর কল্পনা, তাঁর তনু লাবণ্য যেন নেশার মতো তাঁকে প্রেমাবিষ্ট করে রাখে l আপন শান্ত মনে সেই তরঙ্গের অনুভব করেন তিনি l ক্ষণিককালের মধ্যেই তাঁর শান্ত হৃদয় চঞ্চল হয়ে ওঠে l ধাপে ধাপে তিনি সেই তরঙ্গকে অনুভব করেন এবং উপভোগ করেন l কিন্তু তাঁর হৃদয় আকাশে যদি প্রিয়ার চিত্র আড়াল হয়ে যায়, বাস্তবে বা কল্পনায় তিনি তাঁকে অনুভব করতে না পারেন, তাহলে তিনি রেগে ওঠেন l তাঁর শান্ত মন অশান্ত হয়ে ওঠে l এ এক অস্বস্তিকর দোলা, এক অনাকাঙ্খিত কম্পন যা কবি প্রেমিককে অসুখী করে তোলে l
কবি ভাবতে থাকেন যা তিনি আশা করেন তা কেমন করে পূরণ করা সম্ভব l তিনি তাঁর প্রিয়তমাকে আশা করেন l তাঁর সান্নিধ্য তাঁর কাছে খুব জরুরী l এই বিশাল জগতে তাকে ছাড়া নিজের অস্তিত্ব ভাবতে পারেন না তিনি l যদিও তিনি সঠিক জানেন না কোন পথে এই লক্ষ্য পূরণ হওয়া সম্ভব l কিন্তু তিনি আশাবাদী l এই আশাই তাঁকে ইপ্সিত প্রেম প্রাপ্তিতে সহায়তা দান করবে এ বিষয়ে তিনি নিশ্চিত l তাই অনন্ত আশায় বসে থাকেন তিনি l পথে যত বাধা আসুক, তাঁর চিত্ত থেকে প্রেম উবে যাবে না l আশার পথেই তাঁর প্রেমের তরী ইপ্সিত ঘাটে গিয়ে নোঙ্গর করবে l শত খেলায়, শত অনুভবে, শত অভিজ্ঞতায় তাঁর জীবন প্রেমলীলায় পূর্ণ হবে - এই আশায় তাঁর চিত্ত মন আবিষ্ট l
আশার আলোকে পূর্ণ প্রেমের কবিতার জন্য কবিকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা l