যে কাজ করে তারই ভুল হয় । আর যে কাজ করে না তার একটাই কাজ - অন্যের কাজের ভুল ধরা । অন্যের ভুল ধরতে ধরতে তার এমন অভ্যাস হয়ে যায় যে, যাঁর ভুল হয় না, যিনি ভুল করতে পারেন না - এমন সর্বজ্ঞ ঈশ্বরের কাজেরও ভুল ধরে বসেন তিনি । নিজের দৃষ্টিশক্তির দুর্বলতা এবং বোধের ঘাটতি দিয়ে অপরের কাজের মূল্যায়ন করতে গিয়ে তিনি বারবার ভুল করে বসেন ।

কবি সাইদুল ইসলাম তাঁর ছোট্ট কবিতা 'কাঙ্গাল আঁখি'তে একশ্রেনীর মানুষের এমন দৃষ্টি ও বিচার বিভ্রমকে বিষয় করেছেন । যিনি এই বিশ্ব রচনা করেছেন, সপ্ত আকাশ, সপ্ত ভূমি রচনা করেছেন সেই বিশ্বপিতা মহান ঈশ্বর সকল সৃজনশীলতার আদি সত্তা । তাঁর সৃষ্টি মহান এবং নিখুঁত । প্রতিটি অংশে সৃজনশীলতার ছাপ ফুটে ওঠে । স্তরে স্তরে এই নির্মানের বিষয়টিকে সঠিকভাবে যাঁরা বুঝে উঠতে পারেন নি, তাঁরা যুগে যুগে এর ভুল ব্যাখ্যা করেছেন । সেটা তাঁদের দৃষ্টি ও বিচারের ভ্রম । এই ভ্রম সংশোধিত না হলে সৃষ্টির এই মাহাত্ম্য, তার সৃজনশীলতা উপলব্ধি করা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয় । নিজের দৃষ্টির অক্ষমতার কারণেই তাঁরা এই ভুল বোধের শিকার ।

নিজের মনকে ঈশ্বরের দিকে ফিরিয়ে সঠিক দৃষ্টি ও বিচারবোধের অধিকারী হলে ঈশ্বরের কাজের বিশুদ্ধতা তাঁরা উপলব্ধি করতে পারবেন ।

সুন্দর আধ্যাত্মিক বোধের রচনার জন্য কবিকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা ! !

##
সাত আসমান এবং সাত জমিনের নামগুলি কি কি?

"সাত আসমান: আল্লাহ সুভহানাহুওাতা’লা পবিত্র কুরআন শরিফে বলেন “তিনিই সেই সত্ত্বা যিনি সৃষ্টি করেছেন, যা কিছু জমিনে রয়েছে সেই সমস্ত, অতঃপর তিনি মনোযোগ দিয়েছেন আকাশের প্রতি। বস্তুত তিনি তৈরী করেছেন সাত আসমান। আল্লাহ সর্ববিষয়ে অবহিত”। (সূরা বাকারাহ:২৯)

আমাদের মাথার উপরের আকাশ অর্থাৎ বায়ুমন্ডল সাতটি বিভিন্ন স্তরে বিভক্ত। এটা এখন বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। এই কিছুদিন আগে বিংশ শতাব্দীর আধুনিক যন্ত্রপাতি দ্বারা ইহা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমানিত হয়েছে। কোরআনে দেড় হাজার বছর আগে এই সাতটি স্তরের কথাই এভাবে বলেছে! খুবই বিষ্ময়কর। এই সাতটি স্তরের নামগুলো এরকম-
1. ট্রাপোস্ফিয়ার, 2. স্ট্রাটোস্ফিয়ার,
3. ওযনোস্ফিয়ার, 4. মেসোস্ফিয়ার,
5. থার্মোস্ফিয়ার, 6. আয়নোস্ফিয়ার,
7. এক্সোস্ফিযার।

ভূমির সাতটি স্তর: আল্লাহ সুভহানাহুওাতা’লা পবিত্র কুরআন শরিফে বলেন “তিনিই আল্লাহ যিনি সৃষ্টি করেছেন সাত আসমান এবং পৃথিবী সেই একই পরিমানে”। (সূরা তারেক:১২) আয়াতটি আমাদের কি বলছে ? আয়াতটি আমাদের বলছে শুধু আসমানই নয় বরং পৃথিবীরও সাতটি স্তর রয়েছে। মোহাম্মদ তখনকার দিনে কিভাবে একথা বলতে পারেন! যখন মানুষ পৃথিবীর ব্যাসার্ধ নির্ণয় করাই শেখেনি ? আজকের বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে, পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে এর উপরিভাগ পর্যন্ত সাতটি স্তর রয়েছে। গঠনগত এবং কার্যগত দিক থেকে একটার সাথে আরেকটার কোন মিলই নেই। এগুলো হল –
1. Crust, 2. Lithosphere, 3. Upper mantle,
4. Asrenosphere, 5. Lower mantle,
6. Outer core, 7. Inner core."

নেট থেকে সংগৃহীত   https://www.bissoy.com/409657/