এই বিশ্বজগতের এক স্রষ্টা আছেন বলে আমাদের বিশ্বাস । তাঁর ইচ্ছাতেই জগতের সকল কিছু নিয়ন্ত্রিত হয় । দিন রাত হয় । আমরা মানবজাতি তাঁরই সৃষ্টি । তাঁর ইচ্ছা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত । তাঁর ইচ্ছার বাইরে কিছু নেই ।
কবি তোফায়েল আহমেদ টুটুল 'আরতি' রচনায় সেই জগদীশ্বর এর বন্দনা করেছেন । যাঁর ইচ্ছায় প্রকৃতি চলে, দিন রাত হয়, পঙ্গু মানুষ পাহাড়ে চড়ার মতো আপাত অসম্ভব ঘটনা সম্ভব হয়ে ওঠে, দুর্বল মানুষও তাঁর সহায়তায় সাহসিকতার কাজ করে উঠতে সক্ষম হন, সেই করুনাময় ঈশ্বরের ইচ্ছায় এই জগতে জীবনের প্রবাহ চলেছে, জীবনের জয়গান রচিত হয়ে চলেছে । প্রকৃতির প্রতিটি অস্তিত্বে সেই জগতপিতার দয়ার স্পর্শ রয়েছে ।
পৃথিবীর যতো প্রশংসাবাচক শব্দ সব তাঁর উদ্দেশে উচ্চারিত হয় । তাঁর স্মরনে, তাঁর চরণে নিবেদিত হয় । অনন্ত অসীম ঈশ্বর এই জগতে চিরন্তন । তিনি মহাশক্তিধর । জগতের পরিচালক । কিন্তু নিজের কাজ করে যান গোপনে । তাঁকে চাক্ষুষ দেখা যায় না । ভক্তিমান মানুষ ধ্যান ও আরাধনায় তাঁকে খোঁজেন ও অনুভব করতে পারেন ।
ধ্যানের মাধ্যমেই সেই জগতপিতার সঙ্গে মানুষের সংযোগ রচিত হয় । প্রভুর নীরবতা ভেঙে মানুষ তার প্রাণের কথা, তার অন্তরের ব্যথা তাঁর কাছে নিবেদন করে । হৃদয়ের গভীরে বিশ্বাসের পবিত্র আসন পাতা থাকে । বিশ্বাস থাকে যে ঈশ্বর এই নিবেদন শুনছেন । সেই বিশ্বাসবোধ থেকেই ঈশ্বরের চরণে মনের কথা নিবেদন করে মানুষ ।
মহামহিম ঈশ্বরের কাছে মানুষের প্রার্থনা থাকে জীবনে দুঃখকষ্টের অবসান হোক । মানুষ যা কিছু কামনা করে তা পূরণ হোক । দুঃখকষ্টের জীবন অতিক্রম করে মানুষ প্রকৃত সুখের সন্ধান পাক ।
মহান ঈশ্বর মানুষের এই অন্তরের নিবেদনকে অস্বীকার করতে পারেন না, পাষান হয়ে থাকতে পারেন না, এই বিশ্বাসবোধের জায়গা থেকে কবি সেই মহামহিম ঈশ্বরের কাছে, অদৃশ্য জগতনিয়ন্তার কাছে তাঁর প্রার্থনা নিবেদন করেন ।
সুন্দর ধর্মবোধের কবিতার জন্য কবিকে জানাই আন্তরিক শুভকামনা ।