ভৈরব গর্জন নেই তবে স্রোতশীলা এই পাহাড়ি নদীর জল যখন লুকিয়ে থাকা প্রস্তর খণ্ডে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে তখন তার চোরা কান্না কানে পাতলে শোনা যায় ; পাশেই পাহাড়ের অজস্র বুনোফুল ফুটে আছে .... সেখানেই অতি যত্নে
বানিয়েছি দুই কামরার একটি ঘর ; একটাতে
নিজে থাকব , অন্যটিতে যদি কেউ কোনদিন
ছুটি কাটাতে এখানে আসে থাকতে পারবে ।
বাড়ি থেকে একটু দূরে নদীর উপর একটা
পেরিয়ে যাওয়ার জন্য লোহার সঙ্কীর্ণ সেতু
সেই সেতু পেরিয়ে বুনোফুলের অঘ্রাত সুগন্ধ
পেতে ইচ্ছে করলে পাহাড়ের উপরে যেতে পারে
এখানে নিঝুম রাত পোকার ডাক ছাড়া মঙ্গলগ্রহের
নিস্তব্ধতা ; আগত অতিথির অবসর সময়ে
গল্প করতে পারি নীলাকাশকে সাক্ষী রেখে ।
আসলে আমার এই বাড়ি ঘর পাহাড় নদী
সবকিছুই যেন খরগোশের শিং ; বাস্তবে না পারলেও কল্পনায় লালন করি বহু যত্নে ।