শক্তির মৃত্যু নেই
স্থানান্তরিত হয় মাত্র
এই যে আমাদের জাহান কবজ হয়
তা মাত্র আমাদের সকল শক্তি
আরেকজনের জিম্মায়
আমাদের সমস্ত শক্তি অপহৃত হয়
কারো ইচ্ছায় সে-শক্তি আবার ফিরিয়ে দিতে পারে
আমাদের শরীরেই আছে স্টেম সেল
যে সেলের মধ্যে থাকে ইম্মরটাল সেল
যার কখনও মৃত্যু নেই
এক বিন্দু থেকে এই মহাবিশ্বের সৃষ্টি
যা ক্রমাগত প্রসারণশীল
এ-সকল তথ্য আমরা জেনেছি মাত্র একশো বছর আগে ;
বিগ ব্যাং নামে এই থিয়োরি
এক প্রচণ্ড বিস্ফোরণে সেই বিন্দু
জন্ম দিয়েছিল এই মহাবিশ্বের
তাই মৃত্যুতে যে জীবনের পরিসমাপ্তি
সেই স্টেম সেল , যা অমর , থেকেই
আবার পুনর্জন্ম ; এই পৃথিবী নয়
আরেক জগতে হবে প্রেরিত ।
সুরা কাহাফের ঘটনা আছে জানা
সেই যে গুহাবাসী পাহাড়ের গুহায় ঘুমিয়ে পড়ে
তারা কত বছর জেগে ওঠে নিজেরাও জানত না
পেটের তাগিদে তাদের মধ্যে দুয়েকজন গেল
নিকটবর্তী বাজারে কিছু কিনতে
তাদের পকেটে পড়ে থাকা যে রৌপ্যমুদ্রা
দোকানিকে দিল এবং দেখে তাদের পোশাক
বিস্মিত হতবাক ; বহু প্রাচীন সেই মুদ্রার
ছিল না প্রচলন , পোশাকও বহু সেকেলে
এ দুটো দেখে তাদের সন্দেহ ঘনীভূত
তারা এই বিশ্বের না অন্য জগতের ;
আসলে মহাবিশ্বে ডার্ক ম্যাটার
এবং ডার্ক এনার্জি বলে
দুই বস্তু আছে যা আমাদের দৃষ্টিশক্তির বাইরে
মাত্র পাঁচ শতাংশ বস্তু আমার দেখি
বাকি পঁচানব্বই ভাগ আমাদের নজরে আসে না
তাহলে আমরা জানি কতটুকু !
তাহলে আমরা দেখবো যেটুকু
বিশ্বাস করবো ততটুকু
এই থিয়োরি যদি মানি
তবে তো ডার্ক এনার্জিকে অস্বীকার করা
যেমন অনেক করে জান্নাত জাহান্নামকে অস্বীকার
পরকালে অবিশ্বাস , সুপার পাওয়ারে অবিশ্বাস ।