আমি সেই মহুয়া মৈত্র
মধ্যবিত্ত পরিবারের সেই সাধারণ মেয়ে
যার চোখে শুধু আকাঙ্ক্ষার স্বপ্ন;
সংসদ থেকে আমাকে করা হয়েছে বহিষ্কার
আমি লাঞ্ছিত হয়েছি আপনার বাহিনীর হাতে
আমি আমার ঘর হারিয়েছি
আমাকে করা হয়েছে আহত
আমার জরায়ুর অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছে
আমার মাথার উপরে আকাশ নেই
আমার পায়ের নিচে জমিন আমার আকাশ
দ্রোপদীর যখন বস্ত্রহরণ হয়েছিল
স্বয়ং কৃষ্ণ এসেছিলেন রক্ষাকর্তা হয়ে
আমাকেও রক্ষা করেছেন কৃষ্ণনগরের জনগণ
এবারে আমি আরো তৈরি হয়েই এসেছি
আপনাদের কাছে ; সেবারে দুর্যোধনের
তিনশোর গর্বের বেলুন চুপসে দুশো ছেচল্লিশ;
আমাকে প্রতিরোধ করার শক্তি কৌরবদের নেই
আমি আমার ঘর হারিয়েছি বটে
এখন সমগ্র দেশ আমার ঘর
সব দেশবাসী আমার ভাই বোন মা মাতুল ।
প্রধানমন্ত্রীজি উঠবেন না প্লিজ
এতদিন আপনি বলে এসেছেন , আমরা শুনেছি
এবারে আমরা বলবো আপনারা শুনুন ;
আপনার জন্ম তো জরায়ু থেকে হয়নি
ঈশ্বর স্বয়ং আপনাকে ঝুপ করে সৃষ্টি করেছেন ।
একবার ভেবে দেখুন আপনারা দেশটাকে কোথায় নিয়ে গিয়েছেন ; সারা দেশে যখন রেল পরিবহনের জন্য যত  বরাদ্দ তখন  আপনি কেবল মুম্বাই থেকে
আমেদাবাদ বুলেট ট্রেনে বাজেট তার চেয়ে বেশি
করেছেন বরাদ্দ অথচ রেল যাত্রীর নেই নিরাপত্তা
দিনের পর দিন দুর্ঘটনা; কালাধন , নোট বন্দি ,
বিটি বাঁচাও , পনের লাখ কোথায় গেল
আপনার প্রতিশ্রুতি ; আজ যেটা বলেন
কাল সেটা ভুলে যান । কত কৃষক মেরেছে
আপনার সরকার , কত নও জোয়ান মরেছে
আপনার ভুল নির্দেশে সীমান্তে ,
অমর বীরদের ক্ষতিপূরণ পর্যন্ত করেননি
অথচ মুখে বলেছিলেন কোটি টাকার ;
দেশে আজ সবচেয়ে অরক্ষিত
নারীজাতি , দলিত , কৃষক ,  মুসলিম খ্রিস্টান । দেশটাকে আপনার ঠিকা না ভেবে ভাবুন এ-দেশ ভারতবাসীর যেখানে হিন্দু মুসলিম শিখ খ্রিস্টান জৈন বৌদ্ধ সবার ; চিরকাল বাস করে এসেছে পাশাপাশি; এটা ভারতের ঐতিহ্য ।
এই যে শাড়ি পরা আছে আমার দেশের অর্ধেক জনগণ এই শাড়ি --- এরা এককাট্টা হলে
আপনার সমূহ বিপদ ;
এবারে পাবলো নেরুদার একটা কবিতা বলে
শেষ করবো আমার বক্তব্য ; ওহ্ হ্যাঁ আপনি
আবার পাবলো নেরুদার নাম শোনেননি
কবিতা শুনে হয়তো ভাববেন
বিরোধীদলের কেউ হবে হয়তো ;
হয়তো শুনলেও মাথা চুলকাবেন ।