লোভের পুত্র ক্রোধ
ক্রোধের বিবাহ নিজের ভগ্নী হিংসার সঙ্গে
তাদের একটাই মাত্র পুত্র -- কলি
দুরুক্তি তাদের একমাত্র কন্যা।
এসব কাহিনির প্রেক্ষাপট ছিল ঋষি উদ্দালক
তাঁর অনেক পুত্রের মধ্যে একজন শ্বেতকেতু ;
শ্বেতকেতু উপবিষ্ট পিতামাতার সমীপে
সহসা আগমন এক দ্বিজের
ব্রাহ্মণের আকুতি স্বামী-পুত্রের সম্মুখে
উদ্দালকপত্নীর সম্ভোগ
বলপূর্বক শ্বেতকেতুর চোখের সামনে
মাতাকে অপহরণ ; ক্রোধে উন্মত্ত পুত্র
পুত্রের ক্রোধ নিরসনে উদ্দালক করেন নিষেধ
নিবারণে দিলেন উপদেশ :
জগতের সকল স্ত্রী গাভীর ন্যায় স্বাধীন
সহস্র পুরুষে আসক্ত হলেও স্ত্রী ধর্ম হয়না বিনষ্ট
আমাদের সনাতন ধর্ম বলে সে-কথাই ।
কিন্তু নিজ সিদ্ধান্তে অটল অনড় পুত্র শ্বেতকেতু
অভিসম্পাতে দিলেন বিধান :
অতঃপর যে স্ত্রী অজাচারে হবে লিপ্ত
অথবা যে পুরুষ ত্যাজি পতিব্রতা রমণী
পরদারে লোভী হয়ে করে ব্যভিচার
এবম্বিধ পতির আজ্ঞা করে উপেক্ষা
ক্ষেত্রজ সন্তান উৎপাদনে করে আপত্তি
সকলেই তারা লিপ্ত হবে ভ্রূণ-হত্যা পাপাচারে ।
তথাপি আদেশ উপদেশ নিষেধ উপেক্ষা করে
এ-ঘোর কলিকালে চলে অবিরাম যৌনাচার ।