বিশাল মহীরুহ বটের অজস্র শিকড় নেমে দাঁড়িয়ে কালের সাক্ষী
তার বিস্তৃত শত শত ডালে ডাকে কত শত পাখি করে নীড়  ,
কূজনে মুখর চারিদিক , কাঠবিড়ালী করে খেলা
ছোট ছোট লাল ফল কত ঝরে পড়ে পাখির ঠোকরে
টিয়া পাখির কিচিরমিচির , হাঁড়িচাঁচার কর্কশ
একঘেয়ে ডাক , দুই দোয়েলের পরস্পর কাছে আসা
টিয়াপাখিদের একটানা কিচিরমিচির , কোকিলের কুহুতান  
ক্লান্ত পথিক কপালের ঘাম মুছে সেথা করে ক্ষণিকের বিশ্রাম
শিকড়ে শিকড়ে বসে , হিমেল বাতাসে দেহ মন জুড়ায়
কবে কোন বাংলার ছোটলাট এখানে থেমেছিল
তাঁর অশ্ব বেঁধে , প্রহরীরা ব্যবধান রেখে বসে ছিল
গাঁয়ের কোন কোন কোন এখানেই ভেবেছিল
কবিতার চরণ ; হয়তো কোন চন্দ্রবোড়া এখানেই ঘাপটি মেরে আছে ।
শুক্লা পক্ষের দ্বাদশীর চাঁদ ওঠে , কয়েকটি নিশাচর পাখি ডেকে যায়
পিতামহ পিতার মতো এখানেও বসে পুত্র , ভাবে এই বাংলার
বর্তমান প্রজন্মের লোক কীভাবে এসব গাছ করে ধ্বংস
এ যেন গাছের ডালে নয় নিজেদের পায়ে মারে কুঠার ।