গিরিবাবু পারিবারিক সূত্রে সত্যিই ব্যবসায়ী
অনেক ব্যবসা ব্যাবসা করে কামিয়েছেন কম নয়
কিন্তু এতেও মনের ক্ষুধা কমে না
অনেক চিন্তা ভাবনার পর নেমেছেন রাজনীতিতে
যখন যে দল ক্ষমতায়
তখন সেই দলে , কোন দ্বিধা দ্বন্দ্ব নেই
পোশাক পরিবর্তনের মতো তিনিও পাল্টিরাম
আসলে দূরদর্শী বিচক্ষণ এই ব্যাপারে ।
অবশ্য বাবাকে দেখে উৎসাহিত
মজুতদারিতে যখন বদ নজর পড়ে
অমনি ধাঁ করে রাজনীতিতে নামা ;
ও মা এ তো আঙুল ফুলে কলাগাছ  !
তাই দেখে সব ছেলেই একে একে রাজনীতিতে
বিশেষ করে বড় ছেলে
এর আগে ছিল সর্ষের তেলের কারবার
শিয়াল কাঁটা , লংকার গুঁড়ো ব্যবহার করে
অরিজিনাল তেলের ঝাঁঝ আনাতে পাকা কারিগর
টাকা তো আর কম কমায়নি এই কারবাবে  ।
শেষমেষ শাসক দলে
অবশ্য বাবার সুপারিশ ছিল  ।
ব্যস একবার বিধায়ক হয়েই কম আসেনি
তেলের কারবারি বলে দূরদর্শিতা ছিল
তেল ঢেলে ঢেলে উপরে ওঠার পথ মসৃণ
একেবারে দলের অন্দরমহলে  ।
বলার ক্ষমতা ছিল বলে সংসদ পদে পরের বার
পার্লামেন্ট কাঁপে বক্তৃতায় ।
ব্যস ইডির নজর পড়ে গেল
অমনি ধাঁ করে নব্বই ডিগ্রি ভোল্ট
আর সব ছাড় ! দুঁধে নেতা পিছনে লেগেও
কিছু করতে পারেনি
বরং তাঁকেই পিছিয়ে দিয়ে সামনের সারিতে ।
একেই বলে কপাল
যাতেই যায় মা লক্ষ্মীর নেক নজর !
( ১০ জুন ২০২৪ ওশ , কিরগিজস্তান)