যে অরণ্যে আবৃত আছি আমি
যে নিনাদ আমার কান থেকে মস্তিষ্কে,
অলিন্দ থেকে ব্যাক্তিত্বের মধ্যে
লুকিয়ে আছে রূপকথার গুপ্তধনের মত,
যে ঝোপে মিশে আছে আমার অহঙ্কার,
যে শিকড়ের পথ বেয়ে গভীরে পৌঁছেছে
আমার হিংসা, ভয়, গ্লানি,
অযত্নে ফুটে ওঠা যে নীল জংলী ফুল ছিলো
আমার অস্তিত্বের আরোগ্য নিকেতন,
যে কাদামাটি আমার ভারসাম্যহীনতার ছাপ
সযত্নে বুকে জড়িয়ে ধরে রেখেছে যুগ যুগ ধরে,
সেই অরণ্য, সেই ঝোপ-ফুল-কাদা,
যে গৎ এ জীবন ছিলো বাঁধা,
সেই পথ ধরে ক্রমাগত চলতে চলতে,
নদীখাত, খাল, বিল পেরিয়ে,
পতঙ্গভূক দের নজর এড়িয়ে,
কোনো এক চেতনার অবয়ব ভেসে ওঠে।
শামুক গতিতে স্পষ্ট হয়ে ওঠে
সমুদ্র সফেন, অবিশ্বাসের কুয়াশা ভ্রূ কুঁচকে
ছড়িয়ে পরে ইতস্তত।
দূর থেকে পাহাড়ের ঘ্রাণ
মাতোয়ারা করে তোলে প্রাণ,
চেনা আমি অচেনার ভীড়ে
দুহাত বাড়িয়ে দিই আলিঙ্গনের প্রত্যাশায় ... ।