"চুপিসারি শব্দ"
চুপিসারি শব্দের আনাগোনা। ওরা সেখানে রোজ যাতায়াত করে। অনেকদিন পর একদিন অনুভব হলো যতোটা প্রাণ গড়ে উঠবে বলে ভেবেছিলাম, তার সবটুকুই মিথ্যে। আমি রোজ দিনের শেষে অনসূয়াকে বলতাম কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে সবকিছু দিনে দিনে। অনসূয়া কথাগুলো বিশ্বাস করতো না।
কতোদিন কতো অভিজ্ঞতা লুকিয়ে লুকিয়ে নিজের খাতায় শব্দ কলমে লিপিবদ্ধ হয়েছে জানা নেই, বর্ষ মরশুমের পালা বদলাতে বদলাতে আজ ওদেরকেই বেশি আপন মনে হয়।
মান অভিমান রাগ অনুরাগ হাজারো প্রতিশ্রুতি এতো তাড়াতাড়ি খাতার পাতাগুলো বুঝে গিয়েছিলো কি করে জানি না...... অনেকটা দূর থেকে আজ ওদেরকেই দেখতে পাই।
আজ আমি পৌঁছে গিয়েছি সেখানে, যেখানে হিমবাহে জমে থাকা বরফের গলনও আমায় বুঝে বুঝে সাড়া দেয়।
বইয়ের পাতায় ওদের খুঁজে যেতাম, ধরা পড়লো কলম খাতায়। জীবন তুমি কথা বলো আরও একটু প্রাণের ছন্দে। চুপিসারি শব্দের ভিড়ে কবে যেন হারিয়ে গিয়েছি একটু নিজেকে খুঁজবো বলে।
অনসূয়া জানতো না কাহিনীর প্রলেপে নতুন কাহিনী কিভাবে জমে জমে হিমালয়ের শৈত্যকে খুঁজে পেলো।
আজ অনসূয়া স্বীকার করে এই পথ ওই পথ সে তো শুধু চলনেই সুন্দর। প্রাণ তো রয়ে গেল শুধুই সেখানে , "হিমালয়ের হিমবাহের শৈত্যে লুকিয়ে থাকা এক টুকরো দেখতে চাওয়া আমার ভেতরে"
জানিস অনসূয়া! আজ আমি সত্যি সত্যি বসে আছি এই একলা নিরালায়, মেঘের স্রোত জলের স্রোত সবকিছু কিরকম মিশে গিয়ে একসাথে একপায়ে পা ফেলে চলেছে। বিচ্ছিন্ন এই পৃথিবীর এক প্রান্তে আমি গালে হাত দিয়ে বসে বসে ভাবছি ক্লান্তির পথে চলেছি হেঁটে, এখনও সময় আছে আরও কিছু পথ হাঁটতে চাই ঢেউয়ের সাথে। দূর থেকে স্পর্শ করি প্রাণের আলিঙ্গন, যদি তুই একটু সঙ্গ দিস বাকি জীবন।
ভীড় করে ভিড়ে আছে "চুপিসারি শব্দ"!!!!!!!!
****** কলমে - জয়িতা ******