এবং বালুকাবেলা
------------------

অনিমেষ তাকিয়ে দেখি দূরে দিগন্ত রেখা ধীরে মিলায়,
ঢেউ ধোয়া ক্যানভাসে গাঢ় আশমানী রঙ নীলিমায়।

পালতোলা নৌকায় দাঁড় টেনে জেলেদের জালে ঢিল,
ওই দূরে দেখা যায় একা পাহারায় বসে আছে গাংচিল।

কমলা বিকেল সৈকত ছুঁয়ে দেয়, লাজে রাঙা গোধুলি।
বালুকাবেলায় জীবন আসে,স্মৃতিরাগে অতীতকে ভুলি।

একরাশ স্তব্ধতা স্থির দাঁড়িয়ে,সামনে ফেনিল জলরাশি।
নিমেষে খোলস ছাড়িয়ে পড়ে থাকে ঝিনুক রাশি রাশি।

উদাসী বিকেলে খাতার ভাঁজে শুকনো লাল গোলাপ,
সব গ্লানি ধুয়ে, এ সাগর শুষে নিক সকল অনুতাপ।

বালুতটে ভাসিয়ে দিয়ে যাই লাল নীল গোলাপী খাম,
কান্না ভেজা অতীতের আয়নায় ধুয়ে যাক তোর নাম।

কালের প্রহরী ভাসিয়ে নিয়ে যাক এ স্মৃতির অ্যালবাম,
দিনলিপি নিঃশব্দে ছেড়ে গেছে পাইনি সে সময়ের দাম।

আলো আঁধারি সহসা মেঘ, আকাশে অট্টহাসির রেখা।
চিকচিক করে বালুকারাশি, উজান স্রোতে ফিরে দেখা।

আঁধার যতো ঘনিয়ে আসে,নিজের কাছেই পড়ছি ধরা।
এলোমেলো তরঙ্গ হাল ছেড়ে দেয়, তীব্র স্মৃতির প্রহরা!

টুকরো ভাঙা রকমারি ঝিনুক বালুকাবেলায় ওতপ্রোত,
চাইলেও নেই মুক্তি,বড্ড কঠিন এ জীবনের চোরাস্রোত!

কলমে: জয়িতা
২০.০৭.২০২৪
কলকাতা