একটা আস্ত কোজাগরী চাঁদের রাতে একসাথে,
জ্যোৎস্নাস্নাত কাঞ্চনজংঘা কে দু'চোখ ভরে দেখব।
অপেক্ষায় বসে ভাবি, এবার ছুটিতে সান্দকফু!
তুমি তখন পঞ্জিকা তছনছ করে খুঁজছো অমাবস্যা, আর আঁধার দীর্ঘ হয়ে ছড়িয়ে যাচ্ছে চোখের আড়ালে।
শুনেছিলাম বর্ষায় পশ্চিমঘাটের সৌন্দর্য নাকি অনবদ্য।
সবুজ সহ্যাদ্রি বেয়ে গাঢ় ফেনিল জলরাশি নামছে।
প্রাণপণ ভিজবো শ্রাবণ, মেঘকে করবো আলিঙ্গন!
তুমি হঠাৎ খুঁজতে গেলে মরু সাহারায় তপ্ত বালিয়াড়ি!
আর এক বুক তৃষ্ণা নিয়ে উপেক্ষা দাঁড়িয়ে জানলার গরাদে।
পঞ্চচুল্লীতে দেখব সূর্যোদয়ের মুহূর্তে রঙ এর খেলা,
হৃদয়ে সে রঙ মেখে এনে ফেলবো ফাঁকা ক্যানভাসে।
দেখবে,আকাশ কিভাবে আদর মেখে আলো হয়ে ওঠে!
শুনলাম তুমি ঠিক করেছ আমরা যাবো,সমুদ্রস্নানে।
কমলা বিকেল দিগন্তে মিলবে,আধভেজা পা সাক্ষী!
সূক্ষ্ম পার্থক্য গুলো আগে বুঝিনি, দেয়াল উঠে গেছে।
একাকীত্ব স্পর্শ করেছে সিলিং, সব কথা ফুরিয়েছে।
এখন কোজাগরী রাতে আলো মাখতে পাহাড় খুঁজি না।
শ্রাবণ বরষায় ভিজে নৌকা ভাসাতে অজুহাত চাই না।
ভোরের আলোর অবগাহনে, অজান্তেই ভরিয়ে দিই বোবা ক্যানভাসে!
আমাদের এই সমান্তরাল পথ কোনোদিন কি গিয়ে মিলবে এক বিন্দুতে?
একলাবেলার আয়নায় নিজেকে দেখি,আর জবাব হাতড়ে বেড়াই হৃদয়ের কানাগলিতে!