প্রচন্ড দাব দাহের জ্বালায়
জ্বলে পুড়ে মানুষের দেহ হয়েছে খাক
প্রকৃতি হয়েছে বিপর্যস্ত
সবুজ গাছপালা হয়েছে মলিন
শ্রাবণ এসেও রয়েছিল অধরা ।
দোদুল দোলায় দুলতে দুলতে
আকাশের রং হোলো কালো  
অতঃপর সে সত্যি সত্যিই এলো
রুম-ঝুম ধ্বনি তুলে  
নিক্কন বাজাতে বাজাতে
ঝুমঝুমিয়ে আছড়ে পড়ল
প্রকৃতির কোল ঘেঁষে চারিধার ।
শুকনো নদী-নালা পেল নব-যৌবনের রূপ
মানুষ ও পশু-পক্ষীকূল দাহ-মুক্তির আত্মহারায়
হয়ে উঠল মুখর, আনন্দে ভরপুর,
অনেক সাধনার পর অবশেষে মুখর শ্রাবণ এলো
বাতাসও কানে-কানে বলে গেল -
“সে এসেছে, প্রেম-সুধা ছড়িয়ে সে এসেছে
চলো বর্ষণাসিক্ত হয়ে, সুরে সুর মিলিয়ে
গাই শ্রাবণ-বৃষ্টির গান,
নাচি তালে-তালে রেখে তার মান,
শ্রান্ত-ক্লান্ত-সিক্ত হয়ে
কোন কাজে বসাবো না মন
শুধু তারই তরে পড়ে রইবো অনুক্ষণ” ।।
            ***