আসন্ন এক্সাম

-   জসিমউদ্দীন চৌধুরী

_জীবন-সংসারটাকে বুঝবার যখন
নেই আর কোনো অর্থ  
সহস্র প্রতিবন্ধকতায় ভীড়ে পথচলাতে
তৈরি হয়ে গেছে অসংখ্য গর্ত !

ওহ! পা পিছলে গেছি পড়ে
চক্ষু-কপাল গেছে নড়ে
নেই আর কোনো উপায় , হয়তোবা
   গর্ত থেকে আমায় উঠতে হবে উড়ে।

চারদিক ঘন-কালো, গভীর অন্ধকার
     একা বসে অলসতায় কাতর
আমি কবি চৌধুরী খন্দকার!!

হাজারো চেষ্টায় কবি, তুমি যখন ব্যর্থ
   বিদ্যাপ্রদীপ জ্বেলে, গুরুজনের হাত ধরে উঠতে হবে, এটাই তোমার শর্ত!

অলসতায় ধেয়ে গেছে চারদিক
পঠন-পাঠনে দিচ্ছে বাঁধা,
  ঝিমাইতে কষ্ট হচ্ছে অধিক!

তবুও, খোঁজতাছি সুযোগ গোয়েন্দাবেশে যখন এদিক-ওদিক,
ওরে গর্ধব!  চক্ষুঅন্ধ!! সুযোগ আছে, তোর পাশে তখন  সর্বাধিক।

গুরুজনদের চেষ্টার নহে কবুও  ত্রুটি
সুযোগ কাছে পেয়েও পাকঘরে বসে
   বেলিতাছো তুমি এখনো রুটি।

কে তুমি হতভাগা!
হাতের কাছে সুযোগ পেয়েও
   লাগিতাছে না  কোন  কাজে,
সময়ের সঠিক সদ্ব্যবহার করিতাছো না  
এটা কি তোমার সাজে।

ওহে বোকা!
ভূল পথে হেটে খেয়েছো তুমি ধোঁকা,
এবার থামো!
নিজ-বিবেগকে দাও একটু ঝাঁকা।
না হয়, আসন্ন এক্সামে তোমার
মুখে থাকিবে কলম,কাগজ থাকিবে ফাঁকা।