আগুনঝরা কোনও এক দুপুরে
অচেনা নির্জন অরণ্যপথে
যখন উড়ছিল তপ্ত ধুলো
ক্লান্ত পাখিগুলো- বিশ্রামে যায়;
শুকনো পাতার স্তূপে
তৃষিত প্রাণে- পত্রহীন বৃক্ষতলায়
ছিলাম মুমূর্ষুপ্রায়।

মুক্তিদাত্রী হয়ে সেবিকারূপে এলে-
জল দিলে, কিছু ফল দিলে;
প্রাণ ফিরে পেলাম।

তারপর...
তোমাদের সাথে নিরুদ্দেশ যাত্রায়
ঘুরেছি পাহাড়তলি, লোকালয় থেকে লোকালয়
অফুরন্ত আমেজে জীবনরস করেছি আস্বাদ।
বৈচিত্র্যতায়-মুগ্ধতায় যেখানে রেখেছি পা-
সমৃদ্ধ হয়েছে হৃদয়- পড়েছে বাঁধন,
ফিরে যাব জন্মশিকড়ে তখন
হু হু করে উঠল প্রাণ;
মায়াময়ী যেন গোপনে গোপনে বেঁধেছ আমায়-
বললে, ‘ভালোবাসি, আজীবন জোড়া হয়ে থাকি।’

ছলাৎ ছলাৎ! ভিজে গেল মন দরদে
তবু কণ্ঠ নামিয়ে বললাম- ‘চিরন্তনী,
জন্মভূমি থেকে সময়ের প্রয়োজনে আমি যাযাবর,
উদ্দেশ্যহীনতায় আমরণ যাযাবর তুমি।
ভালোবাসার পূর্ণতা আপন পরিবেশে,
লোকালয়ে স্থবির হবে না কখনও।’

পদচিহ্ন রেখে এলাম;
পাহাড়িচূড়ায় প্রিয়ার বিদায়ী হাত
আজও ডেকে যায়-
ভালোবাসার তপ্ততায় গলে যাওয়া মরমি আমার।