আমার বাড়ির বোস্তানে এক আজব বৃক্ষ উঠছে বেড়ে
কাণ্ডডালে রূপোর রঙে মাজা-ঘষা
স্বর্ণরঙের পাতায় পাতায় সূর্য হাসে ঝলমলিয়ে
ছোট্ট ছিল- তরতর এই গাছটা কেমন মাথা সমান।
কোন একদিন ভোরে আমার নজর গেল
সাদা জ্যোতির বিচ্ছুরণে প্রথম কুঁড়ি আলোকিত
থ’ হয়ে রই কয়েক বছর ফুলের পানে
আকাশ ভেঙে সূর্য যেন গুলিস্তানে উদয় হলো
উদয় হলো হাজার রঙের মানুষরে ভাই
থ’ হয়ে যায় ঘড়ির কাঁটা
দিবারাতের সব ব্যবধান থ’ হয়ে যায়।
পাঁচটি ফুলের কমতি- আমার অবাক লাগে
পরখ করি গাছেই আছে তামাটে রং ধারণ করে
অবাক জিনিস- হাতের ছোঁয়ায় চূর্ণ হয়ে মিলিয়ে গেলো।
এমনিভাবে প্রতি বছর
বিবর্ণ হয় রঙের ধরন- একটা করে যায় মিলিয়ে।
সবিস্ময়ে সকল দুয়ার মুক্ত হলো-
যেদিন রাতের শেষ প্রহরে ধূসর রঙের আঁধার চিরে
ষাটটি ফুলের ঘোমটা হলো উন্মোচিত;
রহস্যময় বৃক্ষ আমার গূঢ়তত্ত্ব বুঝিয়ে দিলো-
কেবলমাত্র একটি ফুলের ক্ষীণ আলো জ্বলছে একা।
একদিন এক অন্ধকারে ঝরে গেলাম অন্তরালে-
গাছটি তখন উধাও হলো।
(দৈনিক প্রতিদিনের কথা'য় প্রকাশিত)