বাঘিনীর দুধ পান করে আকাশ ছুঁয়েছি।
সেবিকা দাঁড়িয়ে আছে ইশারায়-
দুগ্ধস্রোতে শরীর ভিজিয়ে
গোলাপের নির্যাসে ধুয়েছি
চন্দন সৌরভে মালিশ করেছি স্বর্ণতনু
আজ সৃষ্টিতত্ত্বে মজে যাব-
অন্দরমহলে লাল-নীল ডানা দুলে যায়
দুলে যায় ঝাড়বাতি-আলো।
‘শিরা থেকে গলগল রক্ত বেরিয়ে
জড়িয়ে ধরেছে গায়’
এ স্বপ্ন অবচেতনে ঘা দেয় কলিজায়।
সুখের চরম মুহূর্তে হঠাৎ ঝলকে ওঠে
আকাশ থেকে আগুনের ফোয়ারা
জ্বালিয়ে দেয় আমার গগণচুম্বী প্রাসাদ।
আর চাপা পড়া ভগ্নস্তূপ থেকে
পর্দার ধুলো ঝেড়ে চোখ তুলে চেয়ে দেখি-
আকাশ অনেক দূরে।