ঘড়ির কাঁটায় জমে আছে শিশুদের আর্ত চিৎকার
রক্তমাখা দুপুরে সাদা পায়রা খোঁজে ছিন্নপত্র স্বপ্ন।
ইসরাইলি ট্যাংকের চাকা বুলডোজ করে মানবতা—
পাথরের নিচে চাপা পড়ে আছে বিধাতার নীরবতা।

এই চোখ পাথরের না, তবু তাকায় না গাজা দিকে
তার লালসা রঙের ভিতরে আগুনের প্রেতাত্মা
চোখ রাঙায় ফেরাউনী বাতাস, ছিন্নভিন্ন বর্ণমালা।

বিরহী আকাশ এখন ড্রোনের কবিতা লেখে
ফুল না—বোমা ফোটে মসজিদের মিনারের নিচে।
এখানে শিশু মানে সন্দেহ, নারী মানে লক্ষ্যবস্তু,
আর প্রার্থনা মানে জিহ্বা কেটে নেওয়া।

জীবনের গায়ে গুলি লেগে একটি নীরবতা জন্ম নেয়
তার নাম: বিশ্বসংস্থা। সে কেবল বিবৃতি দেয়,
সে কেবল চোখ মেলে, কিন্তু সেই চোখে কিছু দেখে না।

বুকে পাথর বাঁধা নদী বলে,“আমি তো কাঁদতে পারি না
আমার জল এখন লাশ পরিবহনের রুটিন ট্রেন।”
সেই ট্রেন ছুটে যায় জেরুজালেমের পবিত্র ভূমির উপর!

প্রতিবাদের ভাষা এখন স্বপ্নের মতো বিকৃত, তবু কবিতা
দাঁড়ায়— একখণ্ড ধ্বংসাবশেষের উপর, মুখে শুধু দুটো
শব্দ: স্টপ জেনোসাইড.....স্টপ জেনোসাইড...স্টপ!!
----------------------