ইসলাম ধর্মে নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্য পর্দা ফরয করা হয়েছে । কারণ পর্দা প্রথা নারী ও পুরুষকে অশালীন ও অনৈতিক কাজ থেকে বিরত রাখে।
এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই যে, আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় মার্জিত ভাবে চলাফেরা করে, পর্দা সংক্রান্ত ইসলামি অনুশাসন মেনে চলে এমন নারীগণ অপেক্ষা কৃত নিরাপদে রাস্তা -ঘাটে পথ চলতে পারেন। পবিত্র আল কুরআনের সুরা নুরে পর্দা সম্পর্কে আয়াত নাযিল করা হয়েছে ।
কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া আমার এ পোস্টের উদ্দেশ্য নয় । ইদানীং স্কুল, কলেজ, বিশ্ব বিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়েদের বোরকা প্রীতি চোখে পড়ার মত; যা ইসলামি অনুশাসন মেনে চলার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত । তাই তাদের এহেন বোরকা প্রীতি ধর্মীয় কারণে হলে এ বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই । কিন্তু একজন বোরকা পড়া মেয়েকে যখন প্রেমিকের সাথে পার্কে , রেস্তোরাঁয় কিংবা অন্য কোথাও আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়া যায় ; কিংবা একজন বোরকা পড়া মেয়ে যখন নকল করে ধরা পড়ে, প্রতারনা করে; তখন সাধারণ মানুষ সকল বোরকা পড়া মেয়েদের কটাক্ষ করতে ছাড়ে না । ঘোমটা পড়ে যারা খ্যামটা নাচে -----তাদের পাপের ভার অন্যরা কেন বইতে যাবে ? আর ইসলামের রীতিও এটাই যে, প্রত্যেক ব্যক্তি অবশ্যই তার স্বীয় কর্মের জন্য দায়ী থাকবে । এ ব্যাপারে অন্য কাউকে কোনমতেই দায়ী করা চলবে না । কিন্তু সমাজের আর দশ জন কথা বলা ছাড়বে কেন ? তারা তো সুযোগ পেলেই এক হাত নেওয়ার অপেক্ষায় থাকে । যেমনঃ একজন ইমাম সাহেবের একটি অশালীন কাজ করা আর অন্য একজন সাধারণ মানুষের অশালীন কাজ করা অবশ্যই এক কথা নয় । কারণ তাদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা থাকে অনেক বেশি । আমরা সাধারণ মানুষ তাদেরকে অনুসরণ, অনুকরণ করে থাকি । তাই কেউ ধর্মের লেবাস পরিধান করলে অবশ্যই তাঁর উচিত সেই পোশাকের মর্যাদা রক্ষা করা । তা না হলে কেউ কেউ এর দায় ধর্মের উপর চাপিয়ে দিতেও কুণ্ঠা বোধ করে না । তাই কোন ব্যক্তি বিশেষের কর্মকাণ্ডের দায়ভার কেন ধর্ম বহন করবে ? কিন্তু বাস্তবে তাই হচ্ছে ! সেই সাথে একথাও সত্যি যে, ধর্মের লেবাস পড়ে যারা অধর্মের কাজ করে বেড়ায় ; তারা যুগে যুগে নিন্দিত ও ঘৃনিত;
আর ধর্মীয় বিধান অনুসারে তারা ইহ ও পরকালে লাঞ্চিত ।
তাই সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি এ ব্যাপারে সচেতন হওয়ার
বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি ।