১. ধ্বংসের শহরে শিশুর হাসি
ধূলি উড়ছে গাজায়, মাটির নিচে ঘুম
তবুও ফুটে ওঠে শিশুর মৃদু হাসি—
ভাঙা দেয়ালে আঁকে সে সাদা পায়রা,
আকাশ জানে না যুদ্ধের ভাষা।
চোখে তার আগুনের আলো নয়—
আছে স্বপ্ন, মুক্ত বাতাসের খোঁজে
এক মুঠো রুটি, একটু সকাল চাই,
এই তো যুদ্ধ, এই তো পণ।
২. বুলেটের নিচে আজান
আজান ভেসে আসে ধোঁয়ার ভেতর
আল্লাহু আকবার—
কান্না পেরিয়ে ওঠে মিনারের ছাদে
একটি শহীদের কণ্ঠস্বর।
বুলেট থামায় না সে আহ্বান,
রক্ত মেখে যায় পথের দেহ—
তবু প্রার্থনায় জেগে থাকে নাম,
ফিলিস্তিন, অমলিন এক প্রেমের দাগ।
৩. পাথর আর প্রতিরোধ
তোমার হাতে বন্দুক, আমার হাতে পাথর
তবু আমি লড়ি, বুক টান করে দাঁড়াই—
আমার নাম প্রতিরোধ, আমার নাম আশা
আমি ফিলিস্তিনি, বেঁচে থাকাই বিজয়।
দখলদার তুমিও জানো—
ভূমি দখল হয়, আত্মা নয়
যতবার ভাঙবে, ততবার গড়ব
রক্তে রাঙিয়ে শপথ লিখব।
৪. মা তার সন্তানের নাম রাখে 'সাবরা'
মা তার নবজাতককে চুমু দিয়ে বলে—
"তোর নাম সাবরা, তুই ভুলবি না"
কারা জ্বালালো আগুন, কে গুনেছে মৃত
কে ছিঁড়েছে আমার বুকের মানচিত্র।
তুই হবে আগুনের মতো দীপ্ত
তোর হৃদয়ে থাকবে সব শহীদের গল্প—
একদিন তুই বলবি, "এটাই আমার দেশ,
এখানে আমি স্বপ্ন দেখি, রক্ত নয়।"
৫. আমি এক গাছ ছিলাম গাজায়
আমি এক জলপাই গাছ, শতবর্ষী
আমার ছায়ায় বিশ্রাম নিত মুক্তিকামী
আমার ফল খেয়েছে কবি, কৃষক, শিশু—
আজ আমি ভস্ম, ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে।
তবু আমি বেঁচে আছি—
নতুন কুঁড়িতে, রক্তমাখা মাটিতে
যতদিন একটিও পাতা জন্মাবে,
ততদিন ফিলিস্তিন বেঁচে থাকবে।