নক্ষত্রের ছায়ায় আঁকা এক মহাজাগতিক নকশা
যেখানে তুমি—
এক অনির্বচনীয় ধ্রুবতারার শিখা,
নীরবতার গভীরতম সংগীত।

তোমার শ্বাসে ভেসে চলে
ধূলিকণা, মহাকাশ, কালো গহ্বরের নাচন
অণুজীবের নিঃশব্দ কোলাহল
আলোর চেয়েও দ্রুতগতির প্রার্থনার শব্দ।

আমি এক মৃত ভাষার কবি
তোমার অস্তিত্বের আভাস খুঁজে ফিরি
দিগন্তের ওপারে, স্বপ্নের পাঁজরে
অথবা সেই কালপুরুষের চোখে—
যার ছায়া জড়িয়ে থাকে মহাসাগরের অতল।

তুমি আছো শূন্যতার কণায়
তুমি আছো ধ্বংসের বিপরীতে নির্মাণের রেখায়
তোমার এক নিমিষেই—
ধ্বংস হয়ে যায় মহাদেশ,
আবার জন্ম নেয় অজানা গ্রহের বাগান।

আমার শব্দেরা ব্যর্থ, আমার কল্পনাও অপারগ
তোমার রহস্যের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে
শুধু বিস্ময়ের এক বিন্দু আলো হাতে নিয়ে
আমি চেয়ে থাকি, চিরকাল অবাক হয়ে।
-------------